আজ শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৪৭ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক :–
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি সংঘর্ষের সম্পূর্ণ দায়ভার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুনকে আহমেদ নিয়ে তার পদত্যাগের দাবিতে অনঢ় সাত কলেজের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে ঢাকা কলেজের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকে এ কথা বলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মুঈনুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য ছয় দফা দাবি পেশ করেছি। তারমধ্যে একটি দাবি ছিল দাবি অধিভুক্ত বাতিল করে স্বতন্ত্র কাঠামো জন্য কমিশন গঠন করতে হবে। সেটা দাবি কর্তৃপক্ষ আমলে নিয়েছে এর জন্য আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাই। আমাদের এখনো পাঁচটি দাবি বাকি আছে। এ পাঁচটি দাবী ও মানতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি অবস্থানের সম্পূর্ণ দায়ভার ঢাবির প্রোভিসি অধ্যাপক মামুনকে দিয়ে নিতে হবে। অনতবিলম্বে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই প্রোভিসিকে পদত্যাগ করতে হবে। এই দাবিগুলো যদি মেনে না নেওয়া হয় তাহলে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিউমার্কেট থানায় ঘেরাও কর্মসূচি দেওয়া হবে।
তাদের ছয় দফা দাবিগুলো হলো:-
১. ঢাকা কলেজসহ সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংঘাতের দায় নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে এবং প্রো-ভিসি মামুন আহমেদকে পদত্যাগ করতে হবে।
২. ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী রাকিবকে হত্যার উদ্দেশ্য হামলাসহ ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের উপর নিউমার্কেট থানা পুলিশের ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনায় এসি, ওসিসহ জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করে তদন্ত সাপেক্ষে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
৩. সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে ঢাবি শিক্ষার্থী কর্তৃক ইডেন কলেজ ও বদরুন্নেসা কলেজসহ সাত কলেজের নারী শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য এবং অশালীন অঙ্গভঙ্গির সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
৪. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সাত কলেজের একাডেমিক এবং প্রশাসনিক সম্পর্কের চূড়ান্ত অবসান ঘটিয়ে ৪ ঘণ্টার মধ্যে বাতিল করে শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপরেখা প্রণয়ন করতে হবে।
৫. উদ্ভুত পরিস্থিতি সমাধানের জন্য প্রধান উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টা, শিক্ষার্থী উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, ইউজিসি সদস্য এবং ঢাবি ভিসির সমন্বয়ে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি টিমের সাথে তাৎক্ষণিক উচ্চ পর্যায়ের মিটিংয়ের মাধ্যমে এ সংঘাতময় পরিস্থিতির স্থায়ী সমাধান করতে হবে।
৬. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট এরিয়ায় সিটি কর্পোরেশনের রাস্তা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে হবে।
উল্লেখ্য, সোমবার দুপুরে সাত কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সঙ্গে বৈঠকে সাত কলেজকে ঢাবি অধিভুক্তি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সাথে আলোচনা প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ.কে.এম ইলিয়াস বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত থাকছে না সরকারি সাত কলেজ। ২০২৪-২৫ সেশন থেকে ভর্তি পরীক্ষা নেবে না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সাত কলেজকে নিয়ে উচ্চমানের বিশ্ববিদ্যালয় গঠন হবে।