আজ বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৪৩ পূর্বাহ্ন
পিরোজপুর প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভবন নির্মাণ প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তিন প্রকৌশলী এবং একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (২১ এপ্রিল) দুদকের পিরোজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন সম্রাট বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন দুদক পিরোজপুর কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম।
মামলার আসামিরা হলেন—স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী (অবসরপ্রাপ্ত) মো. বজলুর রহমান, বর্তমানে খুলনা-৪ সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী দুলাল চন্দ্র সরকার, বর্তমানে ঝালকাঠির সহকারী প্রকৌশলী শৈলেন্দ্র নাথ মণ্ডল এবং বরিশালের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স নুরী এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. নাসির উদ্দিন লিটু।
মামলার বিবরণে বলা হয়, আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ প্রকল্পের আওতায় মূল ভবন ও দুটি আবাসিক ভবনের নির্মাণকাজে ব্যাপক দুর্নীতি করেন। অনুমোদিত নকশা অনুসরণ না করে ১ কোটি ৩৪ লাখ ৩৫ হাজার ৭৬২ টাকার প্রকল্পে তারা কেবল ৬৩ লাখ ১৯ হাজার ৯৮৩ টাকার কাজ করেন। বাকি ৭১ লাখ ১৫ হাজার ৭৭৯ টাকা আত্মসাৎ করা হয়, যা রাষ্ট্রীয় সম্পদের বড় ধরনের ক্ষতি।
সোমবার রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানায় দুদক। এতে বলা হয়, স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা সেক্টর কর্মসূচির আওতায় প্রধান প্রকৌশলী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ঢাকা থেকে ২০০৮ সালের ২৫ জুন দরপত্র আহ্বান করা হয়। ২০১০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাজ শেষ করার চুক্তি থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম ও কাজের ত্রুটির কারণে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হয়নি। এ কারণে চুক্তি বাতিল করে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মামলার আসামিরা যোগসাজশে ৭১ কোটি ১৫ লাখ ৭৭৯ হাজার টাকা আত্মসাতের চেষ্টা ও রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতিসাধন করেছে।