আজ শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৮ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:
অবশেষে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. বশির গাজীকে বদলি হয়েছে। বাউফলে যোগদান করবেন বরগুনার বেতাগীর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফারুক আহমেদ। মো. বশির গাজীর বর্তমান কর্মস্থল বেতাগী উপজেলা। বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
বরিশাল বিভাগীয় কমিশনের কার্যালয়ের সংস্থাপন শাখার এক প্রজ্ঞাপনে ইউএনওকে বদলি করা হয়েছে। এরআগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে দুই দফায় ঢাকার বিভাগীয় কমিশনের কার্যালয় ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনের কার্যালয়ে মো: বশির গাজীকে ন্যস্ত করা হলেও অদৃশ্য কারণে সেই আদেশ আবার পরে স্থগিত হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা একটি সংবাদ সম্মেলনে মো. বশির গাজী’র বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকমের অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে ১৩ দফা দাবি উপস্থাপন করেন তারা। এছাড়াও বাজার মনিটরিং না করা, বাজার ঘাটের চাঁদাবাজি বন্ধে নিরব ভূমিকা, আদালত ও মাউশি আদেশ অমান্য করা, সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে বাধা দেয়া, জেলেদের চাল বিতরণে নৈরাজ্য, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বাণিজ্য, সরকারি পাঠাগারের কার্যক্রম শুরু না, দলিও করনে ব্যস্ত থাকা, স্থানীয় সংবাদকর্মী মধ্যে গ্রুপিং তৌরি করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ করা হয়েছে মো. বশির গাজী’র বিরুদ্ধে।
তাছাড়া গত ৫ ‘আগস্ট সরকার পতনের পরে মাউশি ও আদালতের আদেশ অমান্য করে অবৈধ প্রধান শিক্ষককে পদে বহাল রাখা, আদালতের আদেশের অপেক্ষা না করে সেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রদান, সাংবাদিকদের অনুসন্ধান বাধাগ্রস্ত করা, পত্রিকার বিজ্ঞাপন দখলের গুজব ছড়িয়ে সাংবাদিক মহলে অস্থিরতা সৃষ্টি, অর্থের বিনিময়ে প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব বন্টন, শিক্ষকদের বিল সাক্ষরে ঘুসগ্রহণ করাসহ নানা ধরনের সমালোচিত কার্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েন ইউএনও মো. বশির গাজী৷ আদালত থেকে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিসও দওয়া হয়েছে।