আজ শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩৬ অপরাহ্ন

Logo
News Headline :
মানববন্ধন করে মুফতি ফয়জুল করিমকে বরিশাল সিটির মেয়র ঘোষণার দাবি ইসরাইল নিপাত যাক, ফিলিস্তিন মুক্তি পাক ” স্লোগানে পিরোজপুরে প্রতিবাদ মিছিল  পুলিশের মাসিক কল‍্যান সভায় শ্রেষ্ট অফিসার নির্বাচিত হয়েছেন শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ  নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সদস্য ডিবির অভিযানে ঢাকায় গ্রেফতার মৌলভীবাজারে এক নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বর্জন করুন দখলদার ইসরায়েলি পণ্য, গ্রহণ করুন দেশীয় পণ্য ববি ছাত্রদল খুবির ভর্তি পরীক্ষায় সুপেয় পানির জন্য “ মুগ্ধ পানি কর্ণার” ২৬ বিশ্বকাপে খেলার ব্যাপারে যা বললেন মেসি গরমে প্রাণ জুড়াবে কাঁচা আমের শরবতে পূর্ণিমাকে দেখে আফসোস নেটিজেনদের!
যশোরে ছাত্রীদের শোবার ঘরে সিসি ক্যামেরা, মাদ্রাসা শিক্ষকের কক্ষে মিললো মনিটর

যশোরে ছাত্রীদের শোবার ঘরে সিসি ক্যামেরা, মাদ্রাসা শিক্ষকের কক্ষে মিললো মনিটর

নিজেস্ব প্রতিবেদক

যশোরের শার্শা উপজেলার একটি কওমি মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ ছাত্রীদের কক্ষ থেকে সিসি ক্যামেরা ও শিক্ষকের কক্ষ থেকে মনিটর জব্দ করেছে। অভিভাবকদের দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গত বুধবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে সেখানে অভিযান চালায়। এসময় পুলিশ মাদ্রাসা থেকে ১৬টি সিসি ক্যামেরাসহ অন্যান্য যন্ত্র জব্দ করে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান বলেন, কওমি মাদ্রাসার পাঁচতলা ভবনের নিচতলায় দুই শিক্ষক থাকেন। ওপরের চারটি তলায় আবাসিক থেকে মেয়েরা লেখাপড়া করে। মেয়েদের শোবারকক্ষে দুটি করে নাইট ভিশন ক্যামেরা স্থাপন করা ছিল। ওই ক্যামেরার মনিটর শিক্ষকের কক্ষে ছিল। নারী পুলিশ সদস্য পাঠিয়ে এগুলো জব্দ করা হয়েছে। এক মাসের ফুটেজের রেকর্ড আছে। সেগুলো যাচাই–বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, মেয়েদের শোবার ঘরে ক্যামেরা স্থাপন করে তাদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা খর্ব করা হয়েছে। এটা কেউ করতে পারেন না।

মাদ্রাসাটিতে ছাত্রীদের কক্ষে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ব্যাপারে এক অভিভাবক যশোরের পুলিশ সুপারের (এসপি) কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী নাজিব হাসান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ানের নেতৃত্বে ওই মাদ্রাসায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় মাদ্রাসার শিক্ষক আবু তাহেরকে (৪৫) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ নিয়ে যায়। যখনই ডাকা হবে, তখনই হাজির হওয়ার শর্তে পরে আবু তাহেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

পুলিশ জানায়, ওই মাদ্রাসায় কতজন মেয়ে থাকে, তার হিসাব মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ দিতে পারেনি। তবে ৪০ মেয়ের নাম পেয়েছে পুলিশ। সংখ্যাটি ১০০ থেকে ১৫০ হতে পারে।

Please Share This Post in Your Social Media

All rights reserved © 2024 ourdailybangladesh.com