আজ বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩২ পূর্বাহ্ন
খেলা ডেস্ক :-
মাহমুদুল হাসান জয় ও মুশফিকুর রহিমের প্রতিরোধে দ্বিতীয় দিন ৩ উইকেটে ১০১ রান নিয়ে দিন শেষ করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু তৃতীয় দিন সকালের প্রথম ঘন্টায় যেন পুরো এলোমেলো হয়ে যায় স্বাগতিকরা। দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়লেও মেহেদি হাসান মিরাজ ও জাকের আলি অনিকের জুটিতে রক্ষা পায় বাংলাদেশ। মিরাজের দৃঢ়তা ও বৃষ্টির বাগড়ায় শেষ পর্যন্ত ৮১ রানের লিড নিয়ে দিন শেষ করে স্বাগতিকরা
ব্যাট করতে নেমে নতুন দিনের সকালে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি জয়। পঞ্চম ওভারে কাগিসো রাবাদার অফ স্টাম্পের বাইরের বল দূর থেকে খেলার চেষ্টায় স্লিপে ক্যাচ দেন তরুণ ওপেনার। ৫ চারে ৯২ বলে ৪০ রান করেন জয়। তার বিদায়ে ভাঙে ৪৬ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি। একই ওভারে দুই সেট ব্যাটসম্যানকে সাজঘরের পথ দেখান রাবাদা। ফুল লেংথ ডেলিভারি ভুল লাইনে খেলে বোল্ড হন মুশফিক।
প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয়বারও তাকে ফেরান রাবাদা। ৩ চারে ৩৯ বলে ৩৩ রান করেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। এরপর ক্রিজে এসে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি লিটন দাসও। কেশভ মহারাজের স্টাম্পে পিচ করে টার্নে বেরিয়ে যাওয়া ডেলিভারি রক্ষণাত্মক খেলার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু হন ব্যর্থ। ব্যাটের ওপরের অংশ ছুঁয়ে বল জমা পড়ে কাইল ভেরেইনার গ্লাভসে।
জোরাল আবেদনে সাড়া দিলেন না আম্পায়ার। মহারাজের আত্মবিশ্বাস দেখে শেষ মুহূর্তে রিভিউ নেন এইডেন মার্করাম। রিপ্লে দেখে ব্যাটে কানায় ছুঁয়ে যাওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হন থার্ড আম্পায়ার। বদলে যায় মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত। ১৫ বলে ৭ রান করে ফেরেন লিটন। দ্রুত ৩ উইকেট হারালেও প্রথম ঘন্টার ধাক্কা সামাল দেয়ার চেষ্টায় লড়তে থাকেন জাকের আলি ও মিরাজ। এরই মধ্যে দুজন মিলে গড়েছেন পঞ্চাশছোঁয়া জুটি।
সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে সপ্তম উইকেটে এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটি। তা ছাড়া হাফ সেঞ্চুরির পথে হাঁটছেন মিরাজ। প্রোটিয়া বোলারদের দেখে শুনে খেলে দলকে ২০০’র পথেও নিয়ে যাচ্ছেন মিরাজ। তাকে দারুণ সঙ্গ দিচ্ছেন জাকের। এর মাঝেই ৯৪ বলে নিজের হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মিরাজ। মধ্যাহ্নভোজ বিরতির পর লিডের দেখা পায় বাংলাদেশ।
তখনও স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যাট চালান মিরাজ এবং জাকের। এবার হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান জাকের। ১০২ বলে অভিষেক টেস্টে হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। মিরাজের সঙ্গে তার ১৩৮ রানের জুটি ভাঙেন মহারাজ। হাফ সেঞ্চুরির একটু পরই মহারাজের বলে লেগ বিফোর উইকেটের শিকার হন জাকের। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি তিনি। মহারাজের লেংথ ডেলিভারিটি জাকেরের লেগ স্টাম্প তাক করে প্যাডে আঘাত করে। ফেরার আগে ১১১ বলে ৫৮ রান করেন জাকের। ২৫০ রানে সপ্তম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
জাকের বিদায় নিলেও নাইম হাসানকে সঙ্গে নিয়ে স্কোরবোর্ডে রান যোগ করতে থাকেন মিরাজ। হাঁটতে থাকেন সেঞ্চুরির পথেও। তবে চা বিরতির আগে ম্যাচে বাগড়া দেয় বৃষ্টি। ফলে ৩টা পর্যন্ত বৃষ্টির কারণে খেলা মাঠে গড়ায়নি। বাধা পেড়িয়ে খেলা শুরু হলেও ১৬মিনিট খেলা শুরুর পর আলোক সল্পতায় খেলা বন্ধ ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। বিকেল ৪টায় তৃতীয় দিনের খেলা বন্ধ ঘোষণা করেন আম্পায়াররা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ (প্রথম ইনিংস)- ১০৬/১০ (৪০.১ ওভার) (জয় ৩০) (রাবাদা ৩/২৬)
দক্ষিণ আফ্রিকা (প্রথম ইনিংস)- ৩০৮/১০ (৮৮.৪ ওভার) (ভেরাইনা ১১৪) (তাইজুল ৫/১২২)
বাংলাদেশ (দ্বিতীয় ইনিংস)- ২৮৩/৭ (৮৫ ওভার) (মিরাজ ৮৭*) (রাবাদা ৪/৩৫)