আজ সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ০১:৩৭ পূর্বাহ্ন
পিরোজপুর প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় দৈনিক রুপালি বাংলাদেশ পত্রিকার সাংবাদিক সোহেল আকনের কন্যা ও চতুর্থ শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী ঊর্মিকে ( ৯) ধর্ষণ শেষে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার সাথে জড়িত ধর্ষক ও খুনি ছগীরের ফাঁসিসহ দেশের সকল ধর্ষকদের দ্রুত সময়ের মধ্যে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (১৬ মার্চ) সকাল ১১ টায় মঠবাড়িয়া উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনের সড়কে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহনে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় প্রবীণ সাংবাদিক আবদুস সালাম আজাদীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক নাজমুল আহসান কবীর, জামাল আকন, ইসমাইল হোসেন, আসাদুজ্জামান সোহেল, আব্দুল্লাহ আল অভি, রাসেল রায়হান ও নিহত উর্মির বাবা সাংবাদিক জুলফিকার আমীন সোহেল।
এ মানববন্ধন থেকে ধর্ষকের পক্ষে কোন আইনজীবীকে আদালতে না দাঁড়ানোর অনুরোধ জানানো হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২১ জুলাই বিকেলে উর্মী নিখোঁজ হয় এবং ২৩ জুলাই বাড়ি থেকে প্রায় ৬০০ গজ দূরে পরিত্যক্ত একটি বাগানের নালার মধ্যে থেকে নিহত উর্মীর অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহত উর্মীর বাবা উপজেলার উত্তর বড় মাছুয়া গ্রামের বাসিন্দা সাংবাদিক জুলফিকার আমীন সোহেল ওইদিন ২৩ জুলাই রাতে মঠবাড়িয়া থানায় অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অধিকর তদন্ত শেষে ছগীর আকন কে গ্রেফতার করেন এবং পরে ছগীরকে একমাত্র আসামি হিসেবে অভিযুক্ত করে তার বিরুদ্ধে চার্জশিট প্রদান করা হয়। অন্যদিকে ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর মঠবাড়িয়া থানায় দায়ের হওয়া তন্নী আক্তারকে জবাই করে হত্যা মামলায় এই ছগীরকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেয় পুলিশ। নিহত তন্নী সাংবাদিক সোহেল আকন এর প্রতিবেশী চাচাতো বোন।
উল্লেখ্য, সিরিয়াল কিলার ছগীর পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার উত্তর বড় মাছুয়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মৃত্যু কুদ্দুস আকনের ছেলে। ছগীর বর্তমানে উচ্চ আদালতের জামিনে রয়েছে। ঊর্মি হত্যা মামলাটি আদালতে বিচারাধীন আছে।