আজ বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ১২:১১ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক
এক সপ্তাহের ব্যবধানে বরিশালের বাজারে চারগুণ বেড়েছে লেবুর দাম। এছাড়া বেগুন ও শসার দামও বেড়েছে তিন থেকে চার গুণ। গত সপ্তাহেও লেবু ৩০ থেকে ৪০ টাকা হালি বিক্রি হলেও বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা হালি। বেগুন ৩০-৩৫ টাকা থেকে বেড়ে ৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ১৫ থেকে ২০ টাকার শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়।
এদিকে রমজানের শুরুতে অতি প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে অসহায়ত্ব প্রকাশ করছেন সাধারণ মানুষ। অপরদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি বাজার কিংবা মোকামে দাম বৃদ্ধির কারণে খুচরা বাজারে তার প্রভাব পড়েছে।
নগরীর বাংলাবাজার এলাকার বাসিন্দা দিনমজুর সবুজ হাওলাদার বলেন, রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যবসায়ীরা কৌশলে প্রয়োজনীয় পণ্যগুলোর দাম আগে থেকে বাড়িয়েছেন। তাছাড়া সয়াবিন তেল কোনো দোকানে মিলেছে না। জিনিসপত্রের যেভাবে মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে তাতে নিম্ন আয়ের মানুষের পক্ষে রমজানের প্রয়োজনীয় পণ্যগুলো কেনা দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে।
সাগরদী চান্দুর মার্কেট এলাকার রিকশাচালক মিলন বলেন, যে হারে সব জিনিসের দাম বেড়েছে তাতে আমাদের মতো শ্রমজীবীতো দূরের কথা মধ্যম আয়ের মানুষও রোজার পণ্য কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। রিকশায় বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ ওঠে। তাদের সবার মুখে জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি নিয়ে একই কথা।
এদিকে নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ১০-২০ টাকা বেড়েছে। গতকাল প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০-২১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭০-১৯০ টাকা। সোনালি মুরগির দাম বেড়ে ২৮০-৩১০ টাকা হয়েছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৬০ থেকে ২৯০ টাকা। মুরগির পাশাপাশি বেড়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম।
রোববার বরিশালের বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০-৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। যা গত সপ্তাহে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হতো ৭০০-৭৫০ টাকায়। খাসির মাংস বিক্রি হয়েছে এক হাজার ২০০ টাকা। যা গত সপ্তাহের চেয়ে একশ টাকা বেশি। তবে আলু-পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। এছাড়া গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ছোলার দাম ১১০ টাকা থেকে বেড়ে ১৩০ টাকা হয়েছে।
প্রকারভেদে প্রতি কেজি চিড়া ৭০ থেকে ৮০ টাকা, মুড়ি ১১০ টাকা থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে খেজুরের দাম জাতভেদে ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে দুই হাজার ২০০ টাকা দরে খেজুর বিক্রি হচ্ছে। এরমধ্যে জায়েদি খেজুর দুই হাজার ২০০ টাকা।
মেডজুল এক হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা, মরিয়ম ১১০০ টাকা থেকে শুরু করে এক হাজার ৩০০ টাকা, মাবরুম ৮০০ থেকে শুরু করে এক হাজার ২০০ টাকা, শুক্কার ৯০০ টাকা, কামরাঙা মরিয়ম এক হাজার টাকা, আজওয়া এক হাজার ৬০০ থেকে শুরু করে এক হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক অপূর্ব অধিকারী বলেন, রমজান উপলক্ষে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে নিয়মিত বাজার মনিটরিং অভিযান অব্যাহত থাকবে।