আজ শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:৫১ অপরাহ্ন
আব্দুল মান্নানঃ পটুয়াখালী প্রতিনিধি
একুশের চেতনায় বাংলাদেশ
মো: জাহিদুল ইসলাম
জেলা সমন্বয়কারী
ইয়ুথনেট গ্লোবাল ,,পটুয়াখালী
বিশ্বের ইতিহাসে বাংলা ভাষার ইতিহাসএকুশে ফেব্রুয়ারি এক অবিস্মরণীয় দিন, যা শুধু বাংলাদেশের নয়, সমগ্র বিশ্বের ভাষাসংগ্রামের ইতিহাসে এক অনন্য স্থান দখল করে আছে। দিনটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়, ভাষা শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয়; এটি জাতির আত্মপরিচয়, সংস্কৃতি ও অস্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ। ১৯৫২ সালের এই দিনে মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রক্ষায় বুকের তাজা রক্ত দিয়েছেন সালাম, রফিক, বরকত, জব্বার, শফিউরসহ আরও অনেক ভাষাসৈনিক। তাঁদের এই আত্মত্যাগ কোনো সাধারণ ঘটনা ছিল না; বরং এটি ছিল বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের সূচনা। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থার (ইউনেস্কো) ৩০তম সম্মেলনে ২৮টি দেশের সমর্থনে ২১ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ২০০০ সাল থেকে বিশ্বের ১৮৮টি দেশে একযোগে এ দিবসটি পালিত হচ্ছে। বাঙালি জাতি হিসেবে বাংলা ভাষাভাষির মানুষকে একুশ একটি আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। যার গর্ব বুকে ধারণ করেই তেজোদ্দীপ্ত বিদ্রোহের সুর ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি/আমি কি ভুলিতে পারি’ কণ্ঠে গোটা জাতি আজ ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাই মিশেছে শহীদ মিনারে। প্রত্যুষে শোকের প্রতীক কালো ব্যাজ ধারণ করে, খালি পায়ে আবালবৃদ্ধবনিতা সবাই সামিল হয় শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য। আমার বিশ্বাস একুশের এই চেতনাকে বুকে ধারন করে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উচু করে দাড়াবে এটাই আমার প্রত্যশা।