আজ শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৩৩ পূর্বাহ্ন
পিরোজপুর প্রতিনিধি:
নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের হামলায় পিরোজপুর বিএনপির তিন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারী) রাত সাড়ে ৯টার দিকে শহরের পুরোনো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রাকিব নামের এক তরুণকে আটক করেছে পুলিশ।
আহত ব্যক্তিরা হলেন পিরোজপুর পৌর ছাত্রদলের সভাপতি মেহেদী হাসান (২৪) , ছাত্রদল কর্মী কে এম ফেরদৌস বাপ্পী শেখ (২২) এবং পৌর কৃষক দলের সহসভাপতি শাহীন গাজী (৫৪)। তাঁদের মধ্যে ফেরদৌসের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলার জেরে গতকাল সন্ধ্যায় পুরোনো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে রাকিব নামের এক তরুণ ব্লেড দিয়ে এলোপাতাড়ি পোচ দিতে থাকে। যাঁদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, তাঁরা সবাই একই এলাকার বাসিন্দা। ঘটনাটি নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে ফেলা যেত।
অন্যদিকে আহত মেহেদী হাসান দাবি করেন, ‘কয়েক দিন ধরে পিরোজপুরের বিভিন্ন দেয়ালে ছাত্রলীগের কর্মীরা “জয়বাংলা” স্লোগান লিখছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর পুরোনো স্ট্যান্ড এলাকায় ছাত্রলীগের কর্মীরা একত্র হচ্ছে, এমন খবরে আমরা সেখানে যাই। সেখানে যাওয়ার সাথে সাথে প্রায় ৩০ জনের মতো ছাত্রলীগ কর্মী আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমাদের ওপর সার্জিক্যাল ব্লেড নিয়ে হামলা করা হয়েছিল।’
হামলার পেছনে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগকে ইঙ্গিত করে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘গত পাঁচ আগস্টের আগে যারা আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছিল, তারাই আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বিএনপির কর্মীদের ওপর আবার তারাই হামলা করেছে।’
তবে এ ঘটনার সঙ্গে ছাত্রলীগের কেউ জড়িত নয় বলে দাবি করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার মাহমুদ। তিনি বলেন, এটি ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল। ছাত্রলীগের কর্মীরা বর্তমানে এলাকায় নেই। এ ছাড়া সংগঠনটির সঙ্গে রাকিব নামের ওই তরুণের কোনো সম্পর্ক নেই।
পিরোজপুর সদর থানার ওসি আবদুস সোবাহান বলেন, ‘ ঠিক কী কারণে এ ঘটনা ঘটছে, তা আমরা তদন্ত করে দেখছি। ইতিমধ্যে রাকিব নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। তার রাজনৈতিক পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি।’