আজ শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫৩ পূর্বাহ্ন
আওয়ার ডেইলি বাংলাদেশ ডেস্ক:-
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ও রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ৪০ জন আহত হয়েছে।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত রেললাইন বটতলা এলাকায় দফায় দফায় চলে এই সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। এসময় দুটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি ভাংচুর ও একটি ডাইং ফ্যাক্টরির ভেতরে প্রবেশ করে কাপড়ের গাইডে আগুন ধরিয়ে দেয় সংঘর্ষকারীরা। ভাংচুর করা হয় দুটি অটোরিকশাসহ একটি ট্রাক। এছাড়া একটি গার্মেন্টস কারখানার কাপড় রাস্তায় ফেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, দুই গ্রুপের মধ্যে গার্মেন্টসের জুট (পরিত্যক্ত কাপড়) ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর জেরে বুধবার বিকেলে ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপি উদ্দ্যোগে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য মাদকের বিরুদ্ধে শান্তি মিছিলের আয়োজন করা হয়। ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সামনে এগিয়ে গেলেই প্রতিপক্ষের বিএনপির কর্মীরা হামলা চালায়।
ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাসান মাহমুদ পলাশ অভিযোগ করে বলেন, গত পাচঁ আগস্টের পর থেকে এই অঞ্চলের গার্মেন্টস কারখানাসহ বিভিন্ন শিল্পকারখানায় আধিপত্য বিস্তার করার জন্য রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীর নেতৃত্বে তার লোকজন হুমকি দিয়ে আসছিল। যে কারণে জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের নির্দেশে ইউনিয়ন বিএনপি শান্তি মিছিল বের করে। সেই মিছিলে এ ঘটনা ঘটে।
অপরদিকে ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়ার মোহাম্মদ চৌধুরী জানান, আওয়ামী লীগ নেতা ওলা মাসুদ ও আক্তার বিএনপির শান্তি মিছিলে গুলি ও হামলা করেছে। জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে আগামীতে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীতা হওয়ার কথা জানতে পেরে তার লোকজন দীর্ঘ দিন ধরে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
ফতুল্লা থানার ওসি সালায়ন মাহমুদ জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও মিল কারখানার ব্যবসা বাণিজ্য নিজেদরে দখলে নেওয়ার জন্য বিএনপির বিবদমান দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে হামলা ও ভাংচুর করেছে। এসময় দুটি কারখানা ভাংচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। তবে কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।