আজ বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২৯ অপরাহ্ন
সাগর হোসাইন,বদলগাছী,প্রতিনিধিঃ
নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার ঐতিহাসিক পাহাড়পুর ইউনিয়নের বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের আয়োজনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনার বিএনপি ঘোষিত রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফার আলোচনা ও সম্প্রীতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২১ ডিসেম্বর,শনিবার বিকেলে পাহাড়পুর প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এই আলোচনা ও সম্প্রীতি সভা অনুষ্ঠিত হয়
পাহাড়পুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জিল্লুর রহমান মাস্টারের সভাপতিত্বে ও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো: সানোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাদেবপুর-বদলগাছী আসনের ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফজলে হুদা বাবুল,এবং প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,বদলগাছী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাদি চৌধুরী টিপু।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে আব্দুল হাদি চৌধুরী টিপু বলেন,২০১৮ সালের নির্বাচনে হ্যালা জ্যালাকে টেনে নিয়ে এসে টিকেট দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান,আমার ৩৬ বছরের রাজনীতির অভিজ্ঞতায় বলতে পারি দুঃসময়ে বিএনপির নির্যাতিত নেতৃবৃন্দের পাশে যে দাঁড়িয়েছিল বিএনপির টিকিট সেই পাবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফজলে হুদা বাবুল বলেন,আমরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দেখানো পথে রাজনীতি করি।তার রাজনীতি হচ্ছে সবাই এক কাতারে এসে দেশকে উন্নতির পথে নিয়ে যাওয়ার রাজনীতি।
বেগম খালেদা জিয়া ১৫ বছর জেলে থেকেছেন কিন্তু আপোষ করেননি।আমরা তাঁর অনুসারী।বদলগাছীর মধ্যে পাহাড়পুর এক নম্বর বিএনপির ঘাঁটি,এখানে আপনাদের ভালবাসা পেয়ে আমি গর্বিত।
এই আসনে বিএনপির অন্যান্য গ্রুপের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি জানান,বিএনপির মাঝে আওয়ামী দালালরা লুকিয়ে আছে।আমরা হাসিনাকে দূরে ছুড়ে ফেলে দিয়েছি,সে পালিয়ে গেছে কিন্তু তার প্রেতাত্মারা আজও সজাগ আছে,আমাদের সাবধান থাকতে হবে।
আমাকে আপনারা যে ভালবাসা দিয়েছেন সেটা পাওয়ার পরে আমার আর কী চাওয়ার আছে ভাই।আমার কর্মীরা আমাকে ভালবাসে এটাই আমার বড় পাওয়া।
ফজলে হুদা রাজনীতিতে এসেছে শহীদ জিয়ার আদর্শে রাজনীতি করতে।
কৃষি ও কৃষকের কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান,ছোট ছোট কৃষি কর্মের মাধ্যমে জীবনমানের উন্নতি ঘটাবেন,ফসল করে খাবেন।
আগামীতে কৃষি পণ্য বিক্রি করতে কোন খাজনা দিতে হবেনা আপনাদের।
জনগণকে সুখবর দিতে গিয়ে তিনি বলেন,পরিবার ভেদে ক্ষমতায় গেলে একটি করে ফ্যানের বিল মাফ করা হবে,ইউনিয়ন পরিষদের যাবতীয় সেবা সহজ করে দেওয়া হবে। এই ঐতিহাসিক পাহাড়পুরে বিশ্ববিদ্যালয় ছিল সেই পাহাড়পুর থেকেই জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেওয়া হবে এবং ছাত্রদের মাধ্যমেই এই এলাকার উন্নয়ন করা হবে।
তিনি আরও বলেন,আপনারা যেদিন ইচ্ছেমতো ভোট দিতে পারবেন সেদিন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে।আমি গত ১৬ বছর বলে এসেছিলাম হাসিনার পতন হবে,প্রশাসন মুক্ত হবে।
জনাব তারেক রহমান আমাকে যে নির্দেশনা দিয়ে কেন্দ্রীয় কৃষক দলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক বানিয়েছেন, ভালবাসা দিয়েছেন তাতে আমি ধন্য।জিয়া পরিবার কখনো কারো সাথে বেইমানি করেনা।
মনে রাখবেন,আওয়ামীলীগের দিন শেষ,ভারতের দিন শেষ।
পাহাড়পুরের সবার প্রশংসা করে তিনি মহিলা দলের তসলিমা খাতুন ও কাজলি রাণীকে ধন্যবাদ জানান।
উক্ত অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন পাহাড়পুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ,যুবদলের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া মিঠু,যুবদলের সাধারণ সম্পাদক পলাশ হোসেন,যুবদল নেতা গোলাম রাব্বি,রেজাউল করিম,আব্দুর রহিম,ভুট্টূ ও
উপজেলা বিএনপি নেতা রবিউল ইসলাম,মামুন (চেয়ারম্যান) রেজাউন্নবী স্যান্ডু,জাকির হোসেনসহ উপজেলা পর্যায়ের বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দত।