আজ শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:২৩ পূর্বাহ্ন
আওয়ার ডেইলি বাংলাদেশ ডেস্ক :-
চট্টগ্রামে ট্রাক থামিয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে সেনাবাহিনীর হাতে আটকের পর দলীয় পদ হারালেন সীতাকুণ্ড উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. ফজলুল করিম চৌধুরী। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির দফতর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেল স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তাকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ড উপজেলা আহ্বায়ক মো. ফজলুল করিম চৌধুরীকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন ইতোমধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।
এর আগে চট্টগ্রামে আমদানি করা লোহার স্ক্র্যাপ বহনকারী ট্রাক থামিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে ফজলুল করিম চৌধুরীসহ দুজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে সেনাবাহিনী। শনিবার দুপুরে হালিশহর এলাকার ওয়াপদা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বন্দর থেকে খালাস করে পোর্ট কানেক্টিং রোড দিয়ে আমদানি করা লোহার স্ক্র্যাপ নিয়ে যাচ্ছিল আবুল খায়ের কোম্পানির (একেএস) একটি ট্রাক। চলন্ত ট্রাকের পেছনে উঠে কিছু পথশিশু ও কিশোর সেখান থেকে লোহার স্ক্র্যাপ রাস্তায় ফেলছিল। চালক ও হেলপার বিষয়টি খেয়াল করলে ওয়াপদা এলাকায় থামেন তারা। ট্রাক থেকে নেমে তাদের ধরে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সেখানে হাজির হন ফজলুল করিম। তিনি ট্রাকচালককে আবুল খায়েরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এসে তার সঙ্গে কথা বলতে চাপ দেন। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সেখানে হালিশহর থানার টহল পুলিশ আসে। পুলিশের সঙ্গেও বাগবিতণ্ডায় জড়ান ফজলুল। এ অবস্থায় পুলিশের পক্ষ থেকে সেনাবাহিনীকে বিষয়টি জানানো হয়। সেনাবাহিনী সেখানে গিয়ে ফজলুলকে আটক করে। পরে তাকেসহ দুজনকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
হালিশহর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সেনাবাহিনীর সদস্যরা দুজনকে আটক করে থানায় দিয়ে গেছেন। আমরা রাজনৈতিক পরিচয় জানি না। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’