আজ বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩২ পূর্বাহ্ন
আওয়ার ডেইলি বাংলাদেশ ডেস্ক :—
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সীমান্তে যারা (বিএসএফের গুলিতে) হত্যার শিকার হন তারা কেউই ভারতের ভূমি দখল করতে যায় না, তারা বাহক মাত্র। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। একই সঙ্গে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশিদের হত্যার বিষয়টিকে ‘নিষ্ঠুরতা’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
ড. ইউনূসের কাছে সীমান্ত হত্যার মতো বিতর্কিত ইস্যু নিয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি এর নিন্দা করে বলেন, সীমান্ত এলাকায় যা ঘটে তা মোকাবিলায় হত্যাকাণ্ড কোনো সমাধান নয়। তিনি বলেন, ‘কাউকে হত্যা করা কোনো সমাধান নয়, কারণ এটি মোকাবিলার আইনি উপায় আছে। এই বিষয়গুলো পরিচালনা করার জন্য একটি গ্রাউন্ড মেকানিজম ও আইনি প্রক্রিয়া থাকতে হবে।’
প্রধান উপদেষ্টা পিটিআইকে আরও বলেন, ‘এটা (সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যা) একতরফা ব্যাপার। কেউ আপনাদের দেশ দখলের জন্য সীমান্ত অতিক্রম করছে না; যাদের গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে তারা বাহক মাত্র। এটা নিষ্ঠুরতা। এটা বন্ধ করতে হবে।’
ভারত-বাংলাদেশের অভিন্ন নদী তিস্তার পানিবণ্টনের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে ড. ইউনূস বলেন, দুই দেশের মধ্যে পানিবণ্টন সমস্যাটি অবশ্যই আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী সমাধান করা উচিত। তিনি জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের মতো ভাটিতে থাকা দেশগুলো অভিন্ন নদীর বিষয়ে নির্দিষ্ট অধিকার আছে।
ড. ইউনূস বলেন, ‘এই ইস্যুতে কালক্ষেপণ (পানিবণ্টন) করায় কোনো উদ্দেশ্য সাধন হচ্ছে না। আমি যদি জানি কতটা পানি পাব—যদিও আমি খুশি না হয়ে সই করি—তারপরও সেটা ভালো হবে। এই সমস্যার সমাধান করতে হবে।’ অন্তর্বর্তী সরকার তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তির সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য ভারতকে ‘চাপ’ দেবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, এটি নতুন সরকার এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘চাপ একটি বড় শব্দ; আমি এটি বলছি না। তবে আমরা এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখব। আমাদের একসঙ্গে বসে এটি সমাধান করতে হবে। এটা নতুন কোনো সমস্যা নয় বরং অনেক পুরোনো। এ বিষয়ে আমরা একাধিকবার কথা বলেছি। আলোচনা শুরু হয় পাকিস্তান আমলে। যদিও আমরা সবাই চেয়েছিলাম এই চুক্তি চূড়ান্ত হোক, এমনকি ভারত সরকারও এর জন্য প্রস্তুত ছিল। যদিও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার এর জন্য প্রস্তুত ছিল না। আমাদের এটি সমাধান করতে হবে।’