আজ বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫৬ অপরাহ্ন
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারধর করেছে বিএনপির অন্য গ্রুপের নেতাকর্মীরা। এসময় মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু ও যুবদল নেতা মুন্নাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়। সেই সাথে আরও প্রায় ১০ জন আহত হয়েছেন। তবে তাদের নাম জানা যায়নি।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ তিন রাস্তার মোড়ে এই হামলার ঘটনা ঘটে। আহতরা একটি ভবনে প্রায় আধাঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর পরিস্থিতি শান্ত হলে বিএনপির নেতাকর্মীরা গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ শহরের ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দেন। আহতদের মধ্যে সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুর অবস্থা গুরুত্বর।
স্থানীয়রা জানান, এদিন বিকেলে বন্দরে বিএনপির একটি কর্মসূচিতে যাওয়ার সময়ে নবীগঞ্জ ঘাটের অদূরে তিন রাস্তার মোড়ে জমায়েত হয় মহানগর বিএনপির নেতারা। হঠাৎ করেই ৪০ থেকে ৫০ জন যুবক মিলে লাঠিসোটা ও বাঁশ নিয়ে তাদের ধাওয়া করে। এতে অনেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও টিপুকে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়। তার শরীরের পাঞ্জাবী ছিড়ে ফেলা হয়। উদ্ধার করতে গিয়ে আহত হন মাসুদ রানা ও মুন্না। তাদের মধ্যে মুন্না রক্তাক্ত জখম হয়।
আহত নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা বলেন, নবীগঞ্জ তিন রাস্তার মোড়ে পৌঁছালে সেখানে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা বিএনপির বহিস্কৃত নেতা আতাউর রহমান মুকুলের অনুসারীরা গতিরোধ করে। কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই লাঠিসোটা ও বাঁশ দিয়ে আমাদের উপর আক্রমণ করে। এতে আবু আল ইউসুফ খান টিপু, যুবদল নেতা মুন্না গুরুতর আহত হয়। সেই সাথে আরও প্রায় ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। মূলত হত্যার উদ্দেশ্যে আমাদের উপর এ আক্রমণ হয়েছে।
এ ব্যাপারে মহানগর বিএনপির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, মুকুল, আশা, মোস্তাক, সৌরভ ও রাজীবসহ দেড় থেকে দুইশ লোক এই হামলা করেছে। দল ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় ছিলো না। এই ১৫ বছর ধরে তারা আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টির দালালি করেছে। এখন দালালি করতে পারে না। তাই তারা আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির লোক নিয়ে হামলা চালিয়েছে। তাদের হামলায় আমাদের প্রায় ২৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। আমাদের সদস্য সচিব মৃত্যুশয্যায় রয়েছে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে আতাউর রহমান মুকুল বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতেই পারে। তাদের বিষফোঁড়া আমি। আমি ছাড়া কেউ নেই কথা বলার মতো। তারা আমার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছে। আমি মারামারির মানুষ না। মারামারি করতে জানি না। আমার সেই বয়সও নেই। যাদের কাছে দোষ করেছে তারাই মারধর করেছে। আমার লোকজন এসবের সাথে জড়িত না।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশের টিম যায়। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। কিভাবে ঘটনা ঘটেছে তা তদন্তসাপেক্ষে বলা যাবে। এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ দায়ের করলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।