আজ বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫১ পূর্বাহ্ন
খেলা ডেস্ক :-
কানপুরে টেস্টকে বিদায় দিলেও মিরপুরে নিজের শেষ সাদা পোশাকের ম্যাচটা খেলতে চেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত সবুজ সংকেত পেয়েছিলেন তারকা অলরাউন্ডার। সাকিবকে বিদায় দিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি) সবকিছু বন্দোবস্ত করে রেখেছিল। সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলতে আমেরিকা থেকে দুবাই পর্যন্ত এসেও ছিলেন তিনি। তবে সাকিবের দেশের আসার খবরে ক্ষণিকেই বদলে যায় দৃশ্যপট।
সাকিবকে যাতে দেশের জার্সিতে খেলতে না দেয়া হয় এমন আবদার করে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বরাবর স্মারকলিপিও দিয়েছে ছাত্র-জনতার ব্যানারে বিক্ষোভে আসা একটা গোষ্ঠী। সাকিবকে দেশে ফেরাতে আবার আন্দোলন করেছেন তার সমর্থকরা। দুই পক্ষের এমন পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভের পর সাকিবকে দেশে না আসার পরামর্শ দিয়েছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়কের দেশে ফিরতে না পারার বিষয়টি নাজমুল হোসেন শান্ত দেখছেন দুর্ভাগ্যজনক হিসেবে। তিনি বলেন, ‘কীভাবে দেখছি আসলে দুর্ভাগ্যজনক। হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু আমরা সবাই জানি কেন হয়নি। এটা নিয়ে আসলে টেস্টের আগের দিন কথা বেশি আগাতে চাই না। আমি চাই প্রতিটা খেলোয়াড় খেলাটাতে ফোকাস করুক।’
পাকিস্তান সফরে থাকাকালীন হত্যা মামলার আসামী হয়েছিলেন সাকিব। সিরিজ জয়ের পর বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে হওয়া সেই মামলার বিরোধিতা করেছিলেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, মুমিনুল হক থেকে জাতীয় দলের বাইরে থাকা ক্রিকেটাররাও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব থেকে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছিলেন তারা। তবে সাকিবের দেশে আসতে না পারার ব্যাপারে একেবারে নিশ্চুপ ক্রিকেটাররা।
ভয় কিংবা সংশয়ের কারণে তাদের এমন চুপ থাকা কিনা এমনটা জানতে চাওয়া হয়েছিল শান্তর কাছে। বাংলাদেশের অধিনায়ক অবশ্য জানিয়েছেন, সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট শুরুর খুব বেশি সময় বাকি না থাকায় ক্রিকেটে মনোযোগ রাখতেই তাদের এমন অবস্থান। আপাতত ক্রিকেটে মনোযোগ দিয়ে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টেস্ট জেতায়। সেই সঙ্গে ফেসবুকে সাকিবের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানানোদের খোঁচাও দিয়েছেন বাঁ’হাতি এই ব্যাটার।
শান্ত বলেন, ‘এরকম কোনো কিছুই না। আমি যেটা একটু আগে বললাম আগামীকালকে একটা টেস্ট ম্যাচ শুরু হবে। আমরা সবাই জানি যে যে হ্যাঁ, উনি যদি এখান থেকে শেষ করতে পারতো, খুবই ভালো হতো। ফোকাসটা পরবর্তীতে ওই জায়গাতে আনা হয়েছে কীভাবে আমরা টেস্ট ম্যাচটা জিততে পারি।’
‘এখন যত কথা বলবো, এখান থেকে কোনো কিছু পাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। কারণ আমরা সবাই জানি কেন উনি আসতে পারছে না। এখন বর্তমান সময়ে যে অবস্থা, ফেসবুকে একটা করে স্ট্যাটাস দিলে সবকিছু সমাধান হয়ে যায়, চিন্তা করতেছি প্রতিদিন একটা করে আমিও স্ট্যাটাস দেবো।’