আজ বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৪৬ অপরাহ্ন
খেলা ডেস্ক :-
বেঙ্গালুরুতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ৪৬ রানে অলআউট হয়ে গেছে ভারত। যা টেস্ট ক্রিকেটে ভারতের তৃতীয় সর্বনিম্ন স্কোর আর দেশের মাটিতে সর্বনিম্ন। কিউদের বোলিং তোপে শূন্য রানে আউট হন টিম ইন্ডিয়ার ৫ ব্যাটার। ভারতের জন্য টেস্টে এক ইনিংসে ৫ ডাক মারার ঘটনা এটি ষষ্ঠবার।
বেঙ্গালুরু টেস্টের প্রথমদিন ভেসে যায় বৃষ্টিতে। আজ বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনে মাঠে নেমেই স্বাগতিক ব্যাটারদের ওপর চড়াও হয় নিউজিল্যান্ড। লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার আগে ৬ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৩৪ রান তুলতে পারে ভারত। এরমধ্যে ৪ জন সাজঘরে ফিরে যান শূন্য রানে। বিরাট কোহলি, সরফরাজ খান, লোকেশ রাহুল ও রবীন্দ্র জাদেজারা খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন।
লাঞ্চ বিরতি পর্যন্ত ভারতের স্কোরবোর্ডে নজরে পড়ে মাত্র ২টি দুই অঙ্কের রান। ওপেনিংয়ে নামা যশস্বী ৬৩ বলে ১৩ রান করেন। আর পাঁচে নামা ঋষভ পন্থ ৪১ বলে ১৫ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা মাত্র ২ রান করে টিম সাউদির শিকার হন। ৩৪ রানে ৬ উইকেট পতনের ঘটনা ভারতের জন্য ঘরের মাঠে বিগত ৫৫ বছরে সবচেয়ে দ্রুত প্রথম ছয় উইকেট হারানোর ঘটনা। এর আগে ১৯৬৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই হায়দরাবাদ টেস্টে ২৭ রানে ৬ উইকেট হারিয়েছিল তারা।
দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনটা মূলত নিজেদের করে নেয় কিউই পেসাররা। যার শুরুটা হয় টিম সাউদির বলে ভারত অধিনায়ক শর্মার উইকেট নিয়ে। এরপর ক্রিজে নেমে শুরু থেকেই খাবি খাচ্ছিলেন বিরাট কোহলি। উইল ও’রুর্কি কিছুটা বাড়তি বাউন্সে লেগ গালিতে গ্লেন ফিলিপ্সের অসাধারণ ক্যাচে ডাক মেরে ফিরতে হয় তাকে। পরের ওভারেই ম্যাট হেনরির বলে ডেভন কনওয়ের আরেকটি অসামান্য ক্যাচে ফিরতে হয় সরফরাজ খানকে।
এই ম্যাচে শুভমান গিলের বদলি সরফরাজের প্রত্যাবর্তন সুখকর হলো না। কোহলির মত তিনিও ফিরলেন ডাক মেরে। এরপর ঋষভ পান্ত আর যশস্বী জয়সওয়াল কিছুটা প্রতিরোধের চেষ্টা করলেও সেটা হয়নি। এরইমাঝে হানা দেয় বৃষ্টি। সেই বিরতির পর ফের আঘাত করে নিউজিল্যান্ড। যশস্বী জয়সওয়াল ৬৩ বলে ১৩ রান করে ক্যাচ দিতে বাধ্য হন। এরপরেই ডাক মেরেছেন লোকেশ রাহুল এবং রবীন্দ্র জাদেজা। ভারতের রান তখন মোটে ৩৪। এরপরই আসে লাঞ্চ বিরতি।
লাঞ্চের পর প্রথম বলেই রবিচন্দ্রন অশ্বিন মারেন গোল্ডেন ডাক। স্লিপে ক্যাচ দেন ম্যাট হেনরির বলে। শেষ স্বীকৃত ব্যাটার ঋষভ পান্তও আউট হন সেই হেনরির বলেই। টম ল্যাথামকে ক্যাচ দেন তিনি। এরপরেই ১ রান করে ফেরেন জাসপ্রিত বুমরাহ। বাড়তি বাউন্সের বলে উড়িয়ে মেরেছিলেন। ফাইন লেগ থেকে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন হেনরি। দিনের শেষ উইকেটও পেয়েছেন হেনরিই। টেস্ট ক্যারিয়ারের শততম উইকেট হিসেবে তুলে নেন কুলদীপ যাদবের উইকেট।