আজ রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫০ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক নিউজ :-
বগুড়ার সোনাতলার ভেলুরপাড়ায় ড. এনামুল হক কলেজের মাঠে হলুদ চাষ করা হয়েছে। কলেজটির অধ্যক্ষের দাবি, কৃষি বিষয়ে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানার্জনের জন্য এই চাষাবাদ। তবে, শিক্ষার্থীদের অভিযোগ; কলেজ মাঠে চাষের ফলে তারা খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। শিক্ষার্থীরা অবিলম্বে মাঠ থেকে হলুদের গাছগুলো অপসারণে কলেজের সভাপতিসহ সংশ্লিষ্ট সকলের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা সদর থেকে সাত কিলোমিটার দক্ষিণে ভেলুরপাড়া চারমাথায় ড. এনামুল হক কলেজ। জাতীয় জাদুঘরের সাবেক মহাপরিচালক ড. এনামুল হকের নামানুসারে কলেজটি প্রতিষ্ঠিত। কলজটিতে উচ্চমাধ্যমিক ও ডিগ্রি পাঠদান করা হয়। এ ছাড়াও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এইচএসসি ও বিএ/বিএসএস কোর্স চালু রয়েছে।
সীমানাপ্রাচীর পরিবেষ্টিত কলেজচত্বরে খেলার মাঠে রোপণ করা হয়েছে বিভিন্ন শাকসবজি ও ফলমূলের গাছ। পাশাপাশি কলেজের দুটি অ্যাকাডেমিক ভবনের সামনে মাঠে হলুদ চাষ করা হয়েছে। বর্তমানে হলুদ গাছগুলো সাড়ে চার ফুট থেকে পাঁচ ফুট উঁচু হয়েছে। হলুদের খেতের দুপাশ দিয়ে রয়েছে কলেজের অভ্যন্তরীণ রাস্তা। ওই রাস্তা দিয়ে কলেজের দক্ষিণ পাশে লাইব্রেরিতে শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করেন। দক্ষিণ পাশে রয়েছে কলেজের স্থায়ী মঞ্চ।
কলেজচত্বরে হলুদ গাছ রোপণের কারণে শিক্ষার্থীরা অবসরে খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে মঞ্চে বিভিন্ন অনুষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, “অধ্যক্ষ আবদুল মালেক কলেজ মাঠে শাকসবজি ও হলুদ চাষ করায় আমরা খেলাধুলা ও বিনোদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। মাঠে হলুদ চাষ করায় মঞ্চে যাতায়াত করতে সমস্যা হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে অনুষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।”
মিজানুর রহমান, সুলতান আলী, সোহেল রানাসহ বেশ কয়েকজন অভিভাবকের অভিযোগ, কলেজের অধ্যক্ষ শাকসবজি ও হলুদ চাষাবাদ করায় কলেজমাঠ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়াও শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা ও বিনোদনবঞ্চিত হচ্ছেন। তারা এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে ড. এনামুল হক কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল মালেক বলেন, “আগে কলেজের মাঠ নিচু ছিল। মাটি কেটে উঁচু করা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের কৃষি বিষয়ে ব্যবহারিক জ্ঞানের জন্য মাঠে হলুদ চাষ করা হয়েছে।”