আজ বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১৪ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:-
মিয়ানমারের সামরিক সরকারের নেতারা বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে অস্ত্র নামিয়ে রাজনৈতিক সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছেন।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) কাতারের গণমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়, সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলি গত বছরের অক্টোবর থেকে সামরিক সরকারের সঙ্গে লড়াই করে আসছে। সময় যাওয়ার সাথে সাথে দেশটির বেশিরভাগ অংশই বিদ্রোহী গোষ্ঠী দখলে নিয়ে নেয়। এতে বেশ চাপে পড়েছে জান্তা সরকার। এ অবস্থায় বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে অস্ত্র ছেড়ে রাজনৈতিক সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছে সামরিক সরকারের নেতারা।
মিয়ানমারের গ্লোভাল নিউ লাইটের শুক্রবারের সংস্কারে প্রকাশিত সামরিক রাজ্য প্রশাসন কাউন্সিলের (এসএসি) দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, “রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াইরত জাতিগত সশস্ত্র সংগঠন এবং পিডিএফ সন্ত্রাসীদেরকে দলীয় রাজনীতি বা নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের জন্য রাষ্ট্রের সাথে যোগাযোগ করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, যাতে এসব কর্মকাণ্ড পরিত্যাগ করে টেকসই শান্তি ও উন্নয়নের উপর জোর দিতে জনগণের সাথে হাত মেলাতে সক্ষম হয়।”
তবে জাতীয় ঐক্য সরকার (এনইউজি) সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া নাটকীয় এই প্রস্তাব বেশ দ্রুতই প্রত্যাখ্যান করেছে।
জাতীয় নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। এরপর দেশটির গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চি ও তার দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেইং এ অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেন। এরপর থেকে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিল (এসএসি) গঠন করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশ শাসন করে চলেছে। এসএসি এবার সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে লড়াইরত জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী এবং পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ)-কে “সন্ত্রাসবাদী পথ” ছেড়ে দিয়ে তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক সংলাপ শুরুর আহ্বান জানিয়েছে।