আজ বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১২ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক নিউজ :-
ফেনীসহ দেশের ১১টি জেলার ভয়াবহ বন্যার রেশ না কাটতেই ফের ৫টি জেলা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। অব্যাহত ভারী বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা পানিতে তিস্তা ক্রমশই বিপদজনক হচ্ছে। এরই মধ্যে বিপৎসীমার ১৮ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। তিস্তার চরসহ নদী বেষ্টিত বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে।
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও গাইবান্ধা জেলার ২৩ হাজারের বেশি পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, অসময়ে উত্তরের ৫ জেলায় ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তিস্তা নদীর পানি এভাবে বাড়তে থাকলে সমতল বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নদীর তীরবর্তী এলাকায় পানি উঠেছে। এরই মধ্যে ৫ জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধররে প্রস্তুতি নিয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে বলা হয়, গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ এবং ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে রংপুর অঞ্চলের তিস্তা নদীসহ সবক’টি নদ-নদীর পানি বেড়ে চলেছে। তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে রংপুর বিভাগের জেলাগুলোতে বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, তিস্তার পানি বিপৎসীমার দুই সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রোববার সকালে তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে ৫২ দশমিক ১৭ সেন্টিমিটার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়। ইতিমধ্যে ব্যারাজের সবগুলো কপাট খুলে দেওয়া হয়েছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, ‘জেলায় প্রায় সব নদ-নদীর পানি বাড়লেও তিস্তা ছাড়া অন্যগুলোর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বাড়লেও এবার কোনো বড় বন্যার আশঙ্কা নেই।’