আজ শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০৭ অপরাহ্ন
ডেস্ক নিউজ :-
নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায় ইমামতি নিয়ে দ্বন্দ্বে এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগে তার ভাতিজাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সকাল সোয়া ৭টার দিকে ঢাকার ধামরাই এলাকা থেকে শাহজাহানকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গ্রেপ্তার করে বলে নেত্রকোণার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মো. লুৎফর রহমান জানান।
৩৫ বছর বয়সী শাহজাহান পূর্বধলা উপজেলার আগিয়া ইউনিয়নের জটিয়াবর গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে।
শাহজাহানের চাচা নিহত হাসিম উদ্দিন (৬৫) ওই গ্রামের বাসিন্দা। মঙ্গলবার ফজরের নামাজের ইমামতি নিয়ে দ্বন্দ্বে পিটুনিতে হাসিম নিহত হন।
এ ঘটনায় হাসিমের স্ত্রী মাজেদা খাতুন বাদী হয়ে শাহজাহানকে একমাত্র আসামি করে পূর্বধলা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লুৎফর।
মামলার বরাতে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, “জটিয়াবর মধ্যপাড়া জামে মসজিদের নির্ধারিত ইমাম শামীম হোসেন। তার অনুপস্থিতিতে প্রায়ই মসজিদে নামাজ পড়াতেন গ্রামের হাসিম উদ্দিনের ছেলে হাফেজ মো. আজিজুল হক। মঙ্গলবার ফজরের নামাজ পড়ানোর সময় শামীম অনুপস্থিত ছিলেন। এ সময় আজিজুল নামাজ পড়াতে গেলে তার চাচাত ভাই শাহজাহান মিয়া আপত্তি তোলেন।
“আজিজুল ও শাহজাহানের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কিছুদিন ধরেই বিরোধ চলছিল। এর জেরে আজিজুলের পেছনে নামাজ না পড়ে মসজিদের বারান্দায় একা নামাজ আদায় করেন শাহজাহান।”
তিনি বলেন, “নামাজ শেষে মসজিদ প্রাঙ্গণে আজিজুল ও শাহজাহানের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় আজিজুলের বাবা হাসিম উদ্দিন তাদের থামতে যায়। এ সময় শাহজাহান তার ওপর চড়াও হন। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শাহজাহান হাসিমকে বেধরক কিল-ঘুষি মারলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যান।”
এ ঘটনায় আসামি গ্রেপ্তারে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও থানা পুলিশের সমন্বয়ে একটি টিম গঠন করে দেন পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ। পরে গোপন খবর ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শাহাজাহানের অবস্থা সনাক্ত করে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লুৎফর জানান।