আজ শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৩ অপরাহ্ন
ডেস্ক নিউজ :-
১৫ দিনেরও বেশি সময় ধরে পানির নিচে রয়েছে রাঙ্গামাটির পর্যটনের আইকন হিসেবে পরিচিত ঝুলন্ত সেতুটি। কাপ্তাই হ্রদের পানিতে ডুবে থাকায় হতাশা প্রকাশ করেছেন পর্যটকরা।
বিশ্ব পর্যটন দিবসে রাঙামাটিতে ঘুরতে আসা পর্যটকেরা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
চট্টগ্রাম থেকে ঘুরতে আসা সালাউদ্দিন বলেন, ‘ঝুলন্ত সেতু দেখতে এসেছি। এখন দেখি এটি পানির নিচে ঝুলছে। শুনেছি প্রতি বছর এই সময়ে সেতুটি পানির নেচে তলিয়ে যায়। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সেতুর সংস্কার করে পানিতে যাতে না ডুবে এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তাছাড়া রাঙ্গামাটিতে ঘোরাঘুরি করার আর কিছুই দেখছি না। শহরের ভেতর যেসব দেখার সব দেখা শেষ হয়ে গেছে। তাই হতাশ হয়ে বাসায় ফিরতে হচ্ছে।’
কক্সবাজার থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক নিবিলাস দাশ বলেন, রাঙ্গামাটির সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্যটন এই সেতু এভাবে পানিতে ডুবে থাকবে এটা আশা করা যায় না। অনেক দূর-দূরান্ত থেকে পর্যটকরা শুধু এই সেতু দেখতে আসেন। কিন্তু তাদের হতাশ হয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে। আর এই একটি পর্যটনের ঝুলন্ত সেতু পুরো রাঙ্গামাটিকে উপস্থাপন করে। এভাবে সেতুটি ডুবে যাওয়া রাঙ্গামাটির পর্যটন শিল্পের জন্য ক্ষতিকারক। কর্তৃপক্ষের এটা নিয়ে ভাবা উচিত বলে আমি মনে করি।’
এদিকে, দীর্ঘদিন পর্যটনের এই সেতু পানিতে ডুবে থাকার কারণে ব্যবসায়িক ক্ষতির মুখে পড়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। পর্যটক না থাকায় ট্যুরিস্ট বোট চালক থেকে শুরু করে ঝুলন্ত সেতু এলাকায় বসা ভ্রাম্যমাণ পাহাড়ি পণ্যের দোকানদার সবার মুখেই হতাশার ছাপ পড়েছে। অন্যদিকে পর্যটনের ঝুলন্ত সেতুটি সংস্কার ও সেতুটি আরও উঁচুতে স্থানান্তরসহ পর্যটন এলাকাটি পর্যটকদের জন্য আরও সৌন্দর্য বাড়াতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আগত পর্যটকসহ স্থানীয়রা।
রাঙ্গামাটি পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, ঝুলন্ত সেতুর পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে। আর কিছুদিনের মধ্যে পানি কমে গিয়ে চলাচলে উপযোগী হলে তা সংস্কার করে ঝুলন্ত সেতু চলাচলে সবার জন্য আবারও উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। আর এই ঝুলন্ত সেতু প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে পানি নিচে তলিয়ে যায়। তাই সেতুটি উঁচুতে স্থানান্তরের ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।-ইউএনবি