আজ শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক :–
এবার ঢাকায় থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে রাজধানীর সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে অতিরিক্ত ৩ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
তিনি বলেন, পুলিশের পাশাপাশি পরিবেশ অধিদপ্তরের ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। তারা যে কোনো জায়গায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে থার্টিফার্স্ট নাইট ও ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে ডিএমপি কর্তৃক গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান।
ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনকে ঘিরে ঢাকা মহানগরীতে কেমন পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করা হবে জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিয়মিত পুলিশ মোতায়েন থাকে। প্রত্যেক ফাঁড়ি থেকে রাতের বেলা কমপক্ষে দুইটি পেট্রোল টিম থাকে, থানা থেকে চারটি-পাঁচটি টিম থাকে। এটা আমাদের রেগুলার ডিপ্লোয়মেন্ট। আজকে শুধু থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে এর বাইরে তিন হাজার অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা মনে করছি এটা যথেষ্ট। আমরা কিছু পয়েন্টকে টার্গেট করেছি৷ বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, গুলশান, ৩০০ ফিট, উত্তরা দিয়াবাড়ী এলাকায় বেশি পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এছাড়া পুলিশ ফোর্সের পাশাপাশি পরিবেশ অধিদপ্তরের ম্যাজিস্ট্রেটরা থাকবেন। তারা যে কোনো জায়গায় ভ্রাম্যমাণ আদালত চালালে আমাদের ফোর্স তাদের সহযোগিতা করবে।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আতশবাজি ফুটিয়ে ইংরেজী নববর্ষকে বরণ করা হয়, বাংলাদেশে পরিবেশের এত সমস্যা কেনো? এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, প্রথমত পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে থার্টিফার্স্ট উদযাপিত হয়। বেশিরভাগ দেশে এটি নববর্ষ, আমাদের দেশে নয়। দ্বিতীয়ত, অন্যান্য দেশে একটি নির্দিষ্ট স্থানে ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনের আয়োজন করা হয়, পুরো শহরজুড়ে আতশবাজি করা হয় না।
তিনি আরও বলেন, আমরাও এ বছর ঢাকা মহানগরীর একটি নির্দিষ্ট স্থানে থার্টিফার্স্ট ও ইংরেজী নববর্ষ উদযাপনের অনুষ্ঠান আয়োজন করার চিন্তা করেছিলাম। কিন্তু এই বছর আমরা সেটি পারিনি। আশা করি আগামী বছর আমরা সেটি আয়োজন করবো।
পুলিশের মনোবল ফিরে এসেছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশের মনোবলের যে ঘাটতি ছিল, এটি আমরা উতরে উঠেছি। আমাদের এখন কোনো সমস্যা নেই।
এর আগে ব্রিফিংয়ে ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী বলেন, থার্টিফার্স্ট নাইটে যাতে আতশবাজি, পটকা, ক্লাস্টার বোমা, রকেট বোমা না ফোটানো হয় সেজন্য গত এক সপ্তাহ ডিএমপি রাজধানীতে অভিযান পরিচালনা করে ১২৭ কেজি আতশবাজি, পটকা, ক্লাস্টার বোমা, রকেট বোমা জব্দ করেছে। এ বিষয়ে ৫টি মামলা হয়েছে এবং ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ সময় তিনি নগরবাসীর উদ্দেশে বলেন, শুধু পুলিশ বা পরিবেশ অধিদপ্তর দিয়ে শব্দদূষণ বন্ধ করা সম্ভব নয়। এজন্য প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব রয়েছে। আমরা সবার সহযোগিতা চাই।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তপন কুমার বিশ্বাসও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।