আজ শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫২ পূর্বাহ্ন
আওয়ার ডেইলি বাংলাদেশ ডেস্ক :—সাতক্ষীরা পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র কাজী ফিরোজ হাসান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিম উদ্দীনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সরকার বিভাগের পৌর-১ শাখার উপসচিব মোঃ মাহবুব আলম স্বাক্ষরিত ৪৬.০০.০০০০.০৬৩.২৭.০০৬.২৩ (অংশ-১)-১০৪০ নং স্মারকের পত্রে সাতক্ষীরার ডিডিএলজিকে এ সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।সাতক্ষীরা পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র কাজী ফিরোজ হাসান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিম উদ্দীনের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগসমূহের মধ্যে রয়েছে, সাতক্ষীরা পৌরসভার উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন সংক্রান্ত নীতিমালা অনুসরণ না করে জনগুরুত্বপূর্ণ কাজ বাদ দিয়ে নিজেদের স্বার্থে লাভজনক খাতে ভুয়া প্রকল্পের নামে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ১ কোটি ৯২ লক্ষ ৯৭ হাজার ১৮৮ টাকা আত্মসাৎ; বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে বেআইনীভাবে আর্থিক অনুদান দেখিয়ে ২০ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা আত্মসাৎ; কোন কাজ না করেই ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচির আওতায় ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ; অর্থ বাণিজ্যের মাধ্যমে পৌরসভার বিভিন্ন পদে ১০ (দশ) জন কর্মচারী নিয়োগ ও অর্থের বিনিময়ে বিধি বহির্ভূতভাবে ৪ জন মাস্টাররোল কর্মচারী নিয়োগ; অর্থ বাণিজ্যের মাধ্যমে পৌরসভা পরিচালিত দি পোলস্টার স্কুলে কর্মচারী নিয়োগ; প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিম উদ্দীন এর যোগসাজশে সাতক্ষীরা পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়ী চালক শেখ শহিদুল্লাহকে বেআইনীভাবে অধিকাল ভাতা প্রদানের নামে ১ লক্ষ ৫৮ হাজার ৭৭১ টাকা আত্মসাৎ; ভাগ্যকুল মার্কেটের জায়গা বরাদ্দের নামে বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট হতে অর্থ আদায়; কোরাইশ ফুড পার্কের লাইসেন্স এর ফাইল আটকে দিয়ে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণ; এবং সাংবাদিকের সাথে যোগসাজশ করে পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের অর্থ বেশি দেখিয়ে ৩ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ।স্থানীয় সরকার বিভাগের পত্রে আনীত অভিযোগসমূহের বিষয়ে তদন্তপূর্বক সুস্পষ্ট মতামতসহ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য সাতক্ষীরার ডিডিএলজিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এ প্রসঙ্গে সাতক্ষীরা পৌরসভার সাবেক নির্বাচিত মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি বলেন, কাজী ফিরোজ হাসান ও সিইও নাজিম উদ্দীন পরস্পর যোগসাজশে পৌরসভার কোটি কোটি টাকা লোপাট করেছে। তদন্তপূর্বক তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হোক।