আজ সোমবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:০৩ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক :–
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রতিটি কার্যক্রম ভারত সরকারের স্বার্থকে ঘিরে করা হতো। তাদেরকে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা করতে খুব একটা দেখা যায়নি।’
শুক্রবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চরমোনাই পীর বলেন, ‘২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে রেশ এখনো কাটেনি, এমন অবস্থাতেও দেখতে পাচ্ছি অন্তর্বর্তী সরকার অগোছালোভাবে দেশ পরিচালনার কাজ করে যাচ্ছে। তাদের ভুল ত্রুটি থাকতেই পারে। আমাদের দায়িত্ব হলো তাদের সহযোগিতা করা ও পরামর্শ দেওয়া।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার চব্বিশের নির্বাচনে যেভাবেই হোক সরকার গঠন করেছিল। বর্তমানে এই ফ্যাসিস্টের দোসররা বিভিন্ন জায়গায় ঘাপটি মেরে বসে আছে, সুযোগ পেলেই আক্রমণ করবে।’
রেজাউল করীম বলেন, ‘ফ্যাসিবাদীরা বিভিন্ন জায়গায় তাণ্ডব চালিয়েছে, কিন্তু তা সফল করতে পারেনি। যারা দেশপ্রেমিক রয়েছেন, তাদের বলতে চাই এ দেশটা আমাদের। যারা এ দেশ নিয়ে ছিনিমিনি খেলবে, তাদের ছেড়ে দেওয়া যাবে না।’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন বলেন, ‘বিশ্ব আজ দুই ভাগে বিভক্ত, জালেম এবং মাজলুম। জালেমরা মজলুমের রক্ত চুষে চুষে খেয়ে হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছে। মজলুমরা দুঃখে কষ্টে দিনাতিপাত করছে।’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেয়া ও মুক্ত করার সুযোগ এসেছে। যারা শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন- তারা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য ত্যাগ করেছে। একটি দলকে ক্ষমতায় নেয়া আর শুধু নির্বাচনের জন্য এ ত্যাগ করেনি। ৫৩ বছরে যারাই ক্ষমতায় ছিলো তারা লুটে পুটে আঙুল ফুলে বটগাছ হতে কাজ করেছে।’
ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আলহাজ্ব মুহাম্মাদ আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা খলিলুর রহমান ও জয়েন্ট সেক্রেটারি মুফতী মোস্তফা কামালের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, অন্যতম প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব কে এম আতিকুর রহমান।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিন, মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, আলহাজ্ব আবদুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, ডা. মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, ছাত্রনেতা ইউসুফ আহমদ মানসুর, শ্রমিক আন্দোলন সহ-সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান ও আলহাজ্ব ওয়ায়েজ হোসেন ভূঁইয়া প্রমুখ।