আজ মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫১ অপরাহ্ন
পিরোজপুর প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া বন্দরের বার্ষিক তাফসীরুল কুরআন মাহফিল আয়োজক কমিটি গঠন নিয়ে উপজেলা বিএনপির দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।
মাহফিল আয়োজক কমিটির সভাপতি মনিরুল হক জমাদ্দারকে ফ্যাসিস্ট আখ্যা দিয়ে ১৭ এপ্রিল ভাণ্ডারিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মনির আকনের নেতৃত্বে উপজেলা চত্বরে তাফসির কমিটি বাতিল ও নতুন কমিটি গঠনের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইয়াছিন আরাফাত রানা বিএনপির নেতাকর্মীর দাবির সঙ্গে সহমত পোষণ করে তাফসির কমিটি ভেঙে দেন এবং স্থানীয় মাওলানা আব্দুল জলিলকে আহবায়ক করে একটি নতুন কমিটি গঠন করে দেন।
এ তাফসিরুল মাহফিলে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আহম্মেদ সোহেল মঞ্জর সুমনকে প্রধান অতিথি করে লিফলেট বিতরণ করে। এদিকে নবগঠিত কমিটি বাতিলের দাবিতে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেন ও ভান্ডারিয়া পৌর বিএনপির আহবায়ক আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে অন্য একটি গ্রুপ সোমবার সকালে (২১ এপ্রিল) ভান্ডারিয়া উপজেলা চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ করে এবং তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে প্রধান অতিথিকে নিয়ে আপত্তি তোলেন।
দুটি ঘটনাকেই দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী দাবি করে পিরোজপুর জেলা বিএনপি ভান্ডারিয়া পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান হাওলাদারের দলীয় পদ স্থগিত করেছে। সোমবার (২১ এপ্রিল) রাতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন ও সদস্য সচিব গাজী ওয়াহিদুজ্জামান ওরফে লাভলু স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তার দলীয় পদ স্থগিত করা হয়। একই সঙ্গে ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন – জেলা বিএনপির সদস্য হুমায়ুন কবির, আবু বক্কর সিদ্দিক বাদল ও সরদার কামরুজ্জামান চাঁন। এ তদন্ত কমিটিকে চিঠি পাওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যে জেলা বিএনপি বরাবরে প্রতিবেদন দাখিলের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ভান্ডারিয়া পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান হাওলাদার বলেন, স্বৈরাচার সরকারের নেতাকর্মীদের নিয়ে মাহফিল আয়োজক কমিটি গঠন করা হয়েছিল। আমি এই ঘটনার প্রতিবাদ করায় আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, কেন্দ্র ছাড়া জেলা বিএনপি আমার সদস্যপদ স্থগিত করার ক্ষমতা রাখে না। এমনকি পদ স্থগিতের আগে আমাকে কারণ দর্শানোর কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন বলেন, পৌর বিএনপির দায়িত্বশীল পদে থেকে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অভিযোগে ঊর্ধ্বতন নেতাদের মৌখিক নির্দেশনায় তার পদ সাময়িকভাবে স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।