আজ শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৪৬ অপরাহ্ন

Logo
টাঙ্গাইলে আ লীগ কার্যালয় ও নেতাদের বাড়িতে ভাংচুর অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট

টাঙ্গাইলে আ লীগ কার্যালয় ও নেতাদের বাড়িতে ভাংচুর অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট

নিজস্ব প্রতিবেদক :–

টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় গুঁড়িয়ে দিয়েছে ছাত্র-জনতা। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে তারা ভেকু মেশিন নিয়ে এসে শহরের মেইনরোডে অবস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙা শুরু করে। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতাকে উল্লাস করতে দেখা যায়। এতে ওই সড়‌কে যানচলাচল বন্ধ হ‌য়ে যায়।

এদিকে, জেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুকের বাড়িও এক্সক্যাভেটর দিয়ে সামনের অংশ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পরে বাড়িটিতে লুটপাট চালানো হয়। লুটপাট চালিয়ে বাড়ির ভেতরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকালে একদল বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা শহরের প্রধান সড়কে অবস্থিত জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায় ও এক্সক্যাভেটর দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়। এছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌরসভার সাবেক মেয়র জামিলুর রহমান মিরনের বাড়িতেও ভাংচুর চালিয়ে আসবাবপত্রসহ সব কিছু লুট করে নিয়ে যায়।

জানা যায়, ঢাকায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি ভাংচুরের পরেই ফেসবুক পেজে টাঙ্গাইলের ছাত্র জনতা টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণা দেয়। বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার দিকে ছাত্রজনতাদের শহরের প্রধান সড়কের জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আসার আহবান জানানো হয়। বেলা চারটার দিকে এক্সক্যাভেটর নিয়ে এসে আওয়ামী লীগ কার্যালয় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

পরে সেখানে থেকে জেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুকের থানাপাড়ার বাড়িতে এক্সক্যাভেটর দিয়ে সামনের অংশ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। চালানো হয় ভাংচুর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ। এ সময় বাসার ভেতর থেকে যে যার মত সব কিছু নিয়ে যায়। ঘণ্টাখানেক সেখানে ভাঙচুরের পর তারা চলে যায়।ভাংচুর ও লুটপাট করা হয় জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌরসভার সাবেক মেয়র জামিলুর রহমান মিরনের বাড়িতে। সেখানেও বাড়ির ভেতরে ঢুকে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। এ সময় তারা নারায়ে তাকবির আল্লাহ আকবার ধ্বনি দেয়। এছাড়াও শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের নেতাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেয়।

ফজলুর রহমান ফরুক টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খান আহমেদ শুভর বাবা। এদিকে ভাংচুর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হলেও আইনশৃংখলা বাহিনীর কোন সসদস্যকে ঘটনাস্থলে বাধা দিতে দেখা যায়নি। খবর শুনে তারা কেউ ঘটনাস্থলে আসেনি।

টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভীর আহমেদ জানান, আমরা ভাঙচুরের খবর শুনেছি। কিন্তু নিজেদের নিরাপত্তাজনিত কারণে ঘটনাস্থলে যাইনি।

Please Share This Post in Your Social Media

All rights reserved © 2024 ourdailybangladesh.com