আজ বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫২ অপরাহ্ন
আওয়ার ডেইলি বাংলাদেশ ডেস্ক :—
যাত্রীদের সুবিধার্থে ২০১১ সালে সাড়ে তিন লাখ টাকা ব্যয়ে ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার ষাটপাকিয়া বাসস্ট্যান্ডে বরিশাল—পিরোজপুর মহাসড়কের পাশে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের জায়গায় যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করেছিল ঝালকাঠি রোটারি ক্লাব।
গত ৫ আগস্ট বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতনের পরে ছাউনিটি ভেঙে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের অফিস করার অভিযোগ পাওয়া গেছে মুকুল হাওলাদার নামে এক বিএনপি কর্মীর বিরুদ্ধে।
সরেজমিন দেখা গেছে, যাত্রী ছাউনিটি ভেঙে একটি স্থাপনা নির্মাণের প্রস্তুতি চলছে। সেটি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের অফিস করা হবে বলে জানা গেছে।
অভিযুক্ত মুকুল হাওলাদার বলেন, আমার দোকানের সামনে যাত্রী ছাউনি করা হয়েছিল। তাই এটিকে ভেঙে দিয়েছি। পরবর্তীতে বিএনপির লোকজনকে অফিস করার জন্য আমি প্রতিশ্রুতি দিলে তারা জায়গাটি দখল মুক্ত করতে সহযোগিতা করে। সেখান অফিস করার জন্য ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে।
ভৈরবপাশা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বলেন, যাত্রী ছাউনিটি মুকুল হাওলাদার ভাঙচুর শুরু করলে আমরা নেতা কর্মীরা তাকে বাধা দেই। পরবর্তীতে অফিস করার জন্য তার কাছ থেকে জায়গাটি ভাড়া নিয়ে কাজ শুরু করি।
ঝালকাঠি রোটারি ক্লাবের সাবেক সভাপতি জিএম মোর্শেদ বলেন, সড়ক ও জনপদের অনুমতি নিয়ে যাত্রী ছাউনিটি করা হয়েছিল। কিন্তু এটিকে ভেঙে দিয়ে স্থাপনা করা হয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ব্যাপার।
এ বিষয়ে ঝালকাঠি সড়ক ও জনপদের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহরিয়ার শরীফ খানকে একাধিকবার ফোন দিলে রিসিভ না করায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।