আজ শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৬ পূর্বাহ্ন
মোঃ মামুন সেখ
জেলা প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জ৷
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়নের ব্রহ্মখোলা গ্রামের পল্লী চিকিৎসক ইদ্রিস আলী৷ তিনি একজন পল্লী চিকিৎসক হওয়া সত্ত্বেও তার নেশা শুধু নতুন নতুন ফল ফালানোর৷ ঠিক তারই ধারাবাহিকতায় ড্রাগন চাষ করে সফল হয়েছেন ইদ্রিস আলী৷
ইদ্রিস আলী নানান চিন্তাভাবনা করে তিনি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন যে ড্রাগন ফল চাষ করবে৷ তার সেই চিন্তার ধারাবাহিকতায় সে খুঁজতে শুরু করে উন্নত জাতের ড্রাগন৷ বেশ কিছুদিন চারদিকে বেশ কিছু উদ্যোক্তার পরামর্শ নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যে বাউ-৩ জাতের ড্রাগন চাষ শুরু করবেন৷ ঠিক তারই ধারাবাহিকতায় ০২ বিঘা জমিতে বাউ-০৩ জাতের ড্রাগন চাষ শুরু করেন ৷
সরে জমিনে গিয়ে পল্লী চিকিৎসক ইদ্রিস আলীর সাথে কথা বললে তিনি আমাদের বলেন, আগে অন্য সব ফসল চাষ করতাম কিন্তু দেখলাম ড্রাগন ফল একবার চাষ করলে ২০-২৫ বছর গাছের পরিচর্চা করলে গাছ থেকে ফল পাওয়া সম্ভব৷ এটা শুধুমাত্র ভালোভাবে পরিচর্যা করলে ভালো ফলাফল পাওয়া সম্ভব৷ আর এখানে যেহেতু আমার বারবার টাকা খরচ করতে হয় না তাই লাভবান হওয়ার আশা অনেকটাই বেশি৷
তিনি আরও বলেন, ড্রাগন চাষের সময় উন্নত জাত বাছাই করলে ড্রাগন চাষে অবশ্যই সফলতা অর্জন করা সম্ভব৷ আর এখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে সার ব্যবহার করতে হয় এবং ছত্রাকের আক্রমণ দেখা দিলে হালকা পরিসরে ছত্রাক নাশক কীটনাশক স্প্রে করে দিলে ফলের কোন ক্ষতি হবে না৷
এলাকাবাসীর সাথে কথা বললে তারা বলেন, এই এলাকায় ইদ্রিস আলীই সর্বপ্রথম ড্রাগন চাষ শুরু করেন এবং সে খুবই লাভবান হয়েছেন৷ আর এখন এটা চাষ করা দেখে অনেকেই ড্রাগন চাষ করার কথা ভাবছেন৷
স্থানীয় এক কৃষকের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমরা আগে আমাদের ফসলি জমিতে ধান চাষ করতাম কিন্তু ইদ্রিস আলীর ড্রাগন চাষ করা দেখে ভাবতেছি আমিও ড্রাগন চাষ শুরু করব৷
ইদ্রিস আলী আরোও বলেন আমার দুই বিঘা জমিতে চাষ করা শুরু থেকে ফল আসা পর্যন্ত খুঁটি, লেবার, জাল, কীটনাশক ও সার প্রয়োগে মোট ব্যয় হয়েছে প্রায় ৫-৬ লক্ষ টাকা৷ আর আমি আশা করছি এবার আমার ২ লক্ষ টাকার অধিক লাভ হবে৷