আজ বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক :–
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘সাদা পোশাকে (সিভিল ড্রেস) ডিবি কাউকে গ্রেফতার করতে পারবে না। অভিযানের সময় অবশ্যই নির্ধারিত পোশাক (জ্যাকেট) পরিধান করতে হবে, পরিচয়পত্র দেখাতে হবে। আইনের বাইরে কোনো কাজ করতে পারবেন না। আইনের বাইরে আমিও যদি কোনো আদেশ করি, তারা যেন সেটি ফলো না করেন।’
আজ সোমবার দুপুরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয় পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কীভাবে আরও উন্নত করা যায়, সে বিষয়ে ডিবি কার্যালয়ে আলোচনা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ডিবি কার্যালয়ে থাকা ‘আয়নাঘর’ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী খুনসুটি করে বলেন, ‘আয়নাঘর বলতে কিছু থাকবে না, এখানে ভাতের হোটেল বলেও কিছু থাকবে না। এখন ডিবিকে শুধু একটা অনুরোধ করব যে পুকুরটা আছে (ডিবির সামনে), সেটি আয়নার মতো পরিষ্কার করে দেন। পুকুরটা হবে আয়নার মতো পরিষ্কার।’
তিনি বলেন, ‘আমি যদি কোনো দুর্নীতি করি, আপনারা (গণমাধ্যমকর্মী) প্রকাশ করে দেন। তবে সত্যি ঘটনা প্রকাশ করেন। যদি কোনো অপকর্ম করি, সেটি বলে দেন। তবে যেটা করিনি, সেটা বইলেন না। মিথ্যা সংবাদ….যেমন আপনারা ইন্ডিয়ান মিডিয়ারে খুব ভালো কাউন্টার দিয়েছেন। আপনারা সত্যি সংবাদ প্রকাশ করায় সবাই ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। আপনারা সত্যি সংবাদ প্রকাশ করায় এখন তারা খুব একটা (মিথ্যা সংবাদ) প্রচার করছে না। এখন অনেকটা কমে গেছে। এ রকমভাবে আপনারা সত্য সংবাদ অবশ্যই প্রকাশ করবেন।’
শৃঙ্খলার কারণে বাদ পড়া ৩২১ উপপরিদর্শক (এসআই) সচিবালয়ের সামনে অবস্থান করে চাকরি ফিরে পাওয়ার দাবি জানাচ্ছেন, এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘প্রতিটা একাডেমিতেই একটা শৃঙ্খলা আছে। বিভিন্ন কারণে কেউ আউট (বাদ) হলে, তাকে নেওয়া হয় না। আমাদের পুলিশ একাডেমি সবচেয়ে পুরোনো এবং এই উপমহাদেশে নামকরা। তারা (বাদ পড়া এসআই) যে শৃঙ্খলার কারণে বাদ পড়েছেন, এর একটা প্রমাণ হচ্ছে এখনো তারা বিশৃঙ্খল কাজ করছেন। তারা যদি শৃঙ্খল হতেন, তবে প্রপারভাবে (সঠিক পদ্ধতিতে) একটা অ্যাপ্লিকেশন (আবেদন) করতে পারতেন আইজি (পুলিশের মহাপরিদর্শক) সাহেবের কাছে। স্যার আমার সঙ্গে ঠিক হয়নি। তারা আইজি সাহেবের কাছে না গিয়ে গেছেন সচিবালয়ে। এতেই তো বোঝা যাচ্ছে তারা উচ্ছৃঙ্খল।’