আজ শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:০৮ অপরাহ্ন
আক্কাছ আলী (মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি)
মুন্সীগঞ্জ টঙ্গীবাড়ি দিঘীরপাড় ইউনিয়নে নৌকা পারাপারের গড়ে প্রতিনিয়ত ৬ হাজারে ও বেশি মানুষ পারাপার হয় এই খেয়াঘাট টি দিয়ে।
বাজারের পশ্চিম পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে পদ্মার শাখা নদী। এ নদীতে ট্রলারই একমাত্র যাতায়াতের ভরসা। মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর, চাঁদপুরসহ নদী বেষ্টিত ৫টি জেলার অন্তত ১১টি ইউনিয়নের মানুষের যাতায়াত। এতে করে ঝড়-তুফান ও রাত-বিরাতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে এই ঘাটটি দিয়ে।
প্রতিনিয়ত দিঘীরপাড়ের খেয়াঘাট দিয়ে হাজারো মানুষের ভোগান্তি দেখা যাচ্ছে। বৃদ্ধ শিশু অসুস্থ ব্যক্তিরা নামা ওটা করতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
স্থায়ী ও বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী হোসেন বলেন, আমি প্রতিদিন দিঘীরপাড় বাজারে দুধ বিক্রি করতে আসি কিন্তু যখন দিঘীরপাড়ের ঘাটে আসি তখন জীবনটা বাজি রেখে আমাদের নামে ওঠা করতে হয়।ঘাটে এতটাই উঁচু যে উড়তেও কষ্ট হয় নামতেও কষ্ট হয়।প্রশাসনের বা কোন রাজনীতিবিদদের চোখে পড়ে নাই এই ঘাটটি।
কাঁচিকাটার রাবেয়া নামে এক মহিলা বলেন,এই ঘাটটি দিয়ে যে একবারে আসে, সে দ্বিতীয়বার আসতে চায় না।আমার মনে হয় বাংলাদেশে এই জায়গাটাই সবচেয়ে নিকৃষ্ট একটি ঘাট।এখান দিয়ে হাজার হাজার টন আলু, মরিচ,কাঁচামাল যাতায়াত হয়।এই ঘাটি দিয়ে এ মালগুলো উঠানামা করতে যে কষ্ট আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না।আমরা চাই দুই পারে দুটি পাকা খেয়াঘাট তৈরি হোক।
যাতায়াতে দৈনিক ১০ টাকা ভাড়া দিয়ে ও জীবন বাজি ধরে উঠানামা করতে হয়।ঘাট থেকে পড়ে কখনো কখনো কারো হাত-পা ভেঙে গেছে কেউ বা অজ্ঞান হতে দেখা গেছে। এই দুর্ভোগ লাঘবের জন্য দুই পারে দুইটি পাকা খেয়াঘাট প্রয়োজন।
এ বিষয়ে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, জনস্বার্থে বিষয়টি খতিয়ে দেখে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে ।