আজ শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৪ পূর্বাহ্ন

Logo
News Headline :
যুদ্ধ হয়নি শেষ” শিরোনামে দেশের গানের প্রথম প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত জিন্নাত আলী মালকর স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত মহিপুরে ৩০ শে ডিসেম্বর বিশাল গনসংবার্ধনা ও জনসভা উপলক্ষে বিএনপি’র ও অঙ্গ সংগঠনের লিফটের বিতরন কর্মসূচি। হবিগঞ্জ গ‍্যসা ফিল্ডে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মৌলভীবাজারে হঠাৎ গ্যাস সরবরাহ বন্ধ ডিবি পুলিশের উপস্হিতি বুঝতে পেরে গ্রেফতার এড়াতে পালালেন কনকপুর ইউপি চেয়ারম্যান রুবেল লংগদুতে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত” সিরাজগঞ্জে দূর্ঘটনা এড়াতে মহাসড়কে থ্রি হুইলার চলাচলে নিষেধাজ্ঞা  তজুমদ্দিনে সমন্বিত স্থানীয় জলবায়ু বাস্তুচ্যুতি ব্যবস্থাপনা ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শক্তিশালীকরণ সেমিনার অনুষ্ঠিত  বদলগাছী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস প্রায় ৬ মাস ধরে বন্ধ। আন্ত:ক্যাডার বৈষম্য নিরসনের দাবীতে পিরোজপুরে বিসিএস শিক্ষকদের মানববন্ধন
মুন্সীগঞ্জে ভিক্ষুক আয়েশার পায়ে ৩ মাস ধরে গুলি, দেখার কেউ নেই

মুন্সীগঞ্জে ভিক্ষুক আয়েশার পায়ে ৩ মাস ধরে গুলি, দেখার কেউ নেই

Oplus_131072

আক্কাছ আলী (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি:

সত্তরোর্ধ্ব আয়েশা বেগমের (৭৬) স্বামী মারা গেছেন ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে। সন্তান নেই। জীবিকা নির্বাহ করেন ভিক্ষাবৃত্তি করে। গত ৪ আগস্ট পেটের তাগিদে রাস্তায় বের হয়েছিলেন। তবে ছাত্র আন্দোলনের মাঝখানে পড়েন তিনি। পায়ে গুলি লাগে।

এ ঘটনার তিনমাস পার হলে এখনো গুলি রয়ে গেছে আয়েশা বেগমের বাম পায়ে। বেঁচে থাকার তাগিদে জীবন চালানোর জন্য গুলিবিদ্ধ পা নিয়েই ভিক্ষার জন্য রাস্তায় বের হতে হচ্ছে তাকে। তার দেখার কেউ নেই।

ODB Photo

মুন্সীগঞ্জের মানিকপুরের সাব্বির আহমেদ নামের একজনের বাড়িতে আশ্রয়ে আছেন আয়েশা বেগম। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, দোচালা একটি ঘরে আয়েশার মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়েছে। দেখে স্বাভাবিক মনে হলেও শরীরে বহন করছেন জুলাই আন্দোলনের নির্মমতা। পায়ের ঘা অনেকটাই শুকিয়ে গেছে। তবে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটতে হচ্ছে তাকে।

কথা বলে জানা যায়, সম্প্রতি পায়ের ব্যথা বাড়লে স্থানীয়দের সহযোগিতায় এক্স-রে করান আয়েশা বেগম। এক্স-রে রিপোর্টে ধরা পড়ে বাম পায়ের ভেতর এখনো রয়ে গেছে গুলি।

পায়ে গুলি রয়ে যাওয়ায় এখনো যন্ত্রণায় কাতরান আয়েশা বেগম। সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আয়েশা বেগম  বলেন, ‘আমি চাইয়া খাই বাবা। মানুষ কাছে ভিক্ষার জন্য গেছিলাম। রাস্তায় ওরা গুলি করছে। আমার পায়ে লাগছে। কয়েকজন আমারে হাসপাতালে নিয়া গেছিল। পরে বাইত (বাড়ি) আইয়া পড়ি। কয়দিন ধইরা পা ব্যথা করতাছে, জ্বর আহে।’

আয়েশা বেগমকে আশ্রয় দেওয়া সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘বহু আগে ক্যানসারে মারা গেছেন আয়েশার স্বামী লতিফ সরদার। সন্তান নেই। তার বাড়ি চাঁদপুর হলেও বহু বছর ধরেই মুন্সীগঞ্জে থাকেন। ভিক্ষা করে জীবন চলে। সরকারের উচিত ওনার যথাযথ চিকিৎসার উদ্যোগ নেওয়া।’

বিষয়টি নিয়ে কথা হয় মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আওয়াতিফ ইবনে মাতিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এক্স-রে রিপোর্টে দেখা গেছে পিস্তলের গুলি এটি, দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন। তবে গুলি বের করতে হলে সি আর্ম নামে একটি মেশিন প্রয়োজন। জেলা হাসপাতালে এটি নেই। ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো গেলে চিকিৎসা ভালো হবে।’

এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ সিভিল সার্জন মঞ্জুরুল আলম বলেন, ‘আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারলাম। তার নাম জুলাই-আগস্টে আহতদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। সরকার নির্ধারিত সব সুবিধাই তিনি পাবেন।

Please Share This Post in Your Social Media

All rights reserved © 2024 ourdailybangladesh.com