আজ বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:২৮ পূর্বাহ্ন
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়াউদ্দিন মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা কি কারণে যুদ্ধে গিয়েছিলেন, যুদ্ধে যাওয়ার প্রেরণা কে যুগিয়েছিল এবং যুদ্ধ শেষে অর্জিত বাংলাদেশে আপনারা কি ব্যর্থতার সম্মুখীন হয়েছেন তা দু’কলম হলেও লিখে আমাদের জানান। আপনাদের এ লিখা আমাদের তথা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণার বাণী হয়ে থাকবে এবং সঠিক পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
১৬ ডিসেম্বর (সোমবার) সকাল ১১.৩০টায় নগরীর শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম’র সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ডিআইজি আহসান হাবীব পলাশ, পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ, পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল উদ্দিন ও বীর মুক্তিযোদ্ধা একরামুল করিম বক্তৃতা করেন। এছাড়াও সেখানে মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ এবং সরকারি বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ অসংখ্য সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এবারের বিজয় দিবসে চট্টগ্রাম জেলার প্রায় ৪০৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, বাঙালি জাতি ইতিহাস সংরক্ষণ করে না। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাংলাদেশের অতীত ইতিহাস জানানোর জন্য ইতিহাসকে সংরক্ষণ করতে হবে। ১৯৭১ এবং ২০২৪ সালে বাঙালি জাতি মুক্তির জন্য যে সংগ্রাম করেছে তার ইতিহাসকে সংরক্ষণ করতে হবে। জাতিকে বৈষম্য, শোষণ ও নিপীড়ন থেকে মুক্ত করতে এবং আগামীতে আবার যেন ২০২৪ এর মত কোন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রক্তপাত করতে না হয়, সেজন্য ইতিহাসকে রক্ষা করা প্রয়োজন। আগামী প্রজন্ম অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে পারবে।
বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবার জন্য রাষ্ট্র সমান থাকবে কিন্তু রাষ্ট্রে বৈষম্য সৃষ্টি হওয়ার কারণেই মুক্তিযুদ্ধ যেমন হয়েছিল ঠিক তেমনি, ২০২৪ এ জুলাই অভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছিল। ছাত্র-জনতার জুলাই বিপ্লবের মধ্যদিয়ে দেশে নতুন করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।