আজ শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৮ পূর্বাহ্ন

Logo
News Headline :
যুদ্ধ হয়নি শেষ” শিরোনামে দেশের গানের প্রথম প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত জিন্নাত আলী মালকর স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত মহিপুরে ৩০ শে ডিসেম্বর বিশাল গনসংবার্ধনা ও জনসভা উপলক্ষে বিএনপি’র ও অঙ্গ সংগঠনের লিফটের বিতরন কর্মসূচি। হবিগঞ্জ গ‍্যসা ফিল্ডে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মৌলভীবাজারে হঠাৎ গ্যাস সরবরাহ বন্ধ ডিবি পুলিশের উপস্হিতি বুঝতে পেরে গ্রেফতার এড়াতে পালালেন কনকপুর ইউপি চেয়ারম্যান রুবেল লংগদুতে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত” সিরাজগঞ্জে দূর্ঘটনা এড়াতে মহাসড়কে থ্রি হুইলার চলাচলে নিষেধাজ্ঞা  তজুমদ্দিনে সমন্বিত স্থানীয় জলবায়ু বাস্তুচ্যুতি ব্যবস্থাপনা ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শক্তিশালীকরণ সেমিনার অনুষ্ঠিত  বদলগাছী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস প্রায় ৬ মাস ধরে বন্ধ। আন্ত:ক্যাডার বৈষম্য নিরসনের দাবীতে পিরোজপুরে বিসিএস শিক্ষকদের মানববন্ধন
প্রশাসনের তোয়াক্কা না করে কামরুল সিন্ডিকেটের বেপরোয়া চাঁদাবাজি

প্রশাসনের তোয়াক্কা না করে কামরুল সিন্ডিকেটের বেপরোয়া চাঁদাবাজি


নিজস্ব প্রতিবেদক:

সিলেট জেলার সীমান্ত এলাকার গোয়াইনঘাট উপজেলায় চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ করতে পরছেনা স্থানীয় থানা পুলিশ। রাত হলে উপজেলার সদরের কাছে পুলিশের একটি চেকপোষ্ট বসানো হয় চোরাচালান প্রতিরোধ করতে। কিন্তু সেখানে পুলিশের চোরাচালান প্রতিরোধী কাজে বাধা হয়ে দাড়ায় এলাকায় কতিপয় যুবক। তারা নিজেদের নির্দিষ্ট একটি দলের কর্মী পরিচয় দিয়ে পুলিশ চেক পোষ্টের কাছে দাড়িয়ে থাকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে। চোকপোষ্ট এলাকায় কোন চোরাইগাড়ি আটক করলেই সে সব যুবক দেশীও অস্ত্র নিয়ে পুলিশ সদস্যদের জিম্ম করে নিজেরাই চোরাচালানের গাড়িগুলো চেকপোষ্ট পার করে দিচ্ছে। বিনিময়ে প্রতিটি গাড়ি থেকে তারা আদায় করছে ১ থেকে ১০ হাজার টাকা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সেই সব যুবকদের দলের নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন লেংগুড়া এলাকার কামরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। রাত হলেই তিনি তার দলবল নিয়ে দেশীয় অস্ত্র হাতে গোয়াইনঘাট বাইপাস এলাকায় মহড়া দিয়ে ভারতীয় চিনিসহ বিভিন্ন ধরনের পন্য পুলিশের সামন দিয়ে নিরাপদ গন্তব্যে যেতে সাহায্য করেন। তার কাছে খোঁদ থানা পুলিশও এখন অসহায় হয়ে পড়েছে। ফলে কিছুতেই সীমান্তের চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না থানার পুলিশ সদস্যরা। কামরুল বাহিনী পুলিশের কাছেও এখন এক আতংকের নাম। তার আতংকে গোয়াইনঘাটের সাধারণসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা।এ যেন কামরুল সিন্ডিকেটের কাছে অসহায় প্রসাসন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় চাদাবাজির আরেক নাম কামরুল (২৪) পিতা:কুতুব আলী, গ্রাম লেংগুড়া, গোয়াইনঘাট বড় ব্রীজের পশ্চিম সাইড পুলিশের সামনে প্রতি দিন চাঁদা বাজি করে আসছে, স্থানীয়দের পক্ষ থেকে বার বার স্থানীয় প্রশাসনকে বলার পর পুলিশ কোন শক্ত ভুমিকা পালন করছে না।তারা জানান এই চাদা বাজকে দ্রুত আইনে আওতায় আনা হোক, অন্যথায় এরা আরো ভয়ংকর হয়ে উঠবে।২৪ ঘন্টা চলছে তাদের চাঁদাবাজী

অভিযোগ রয়েছে,চোরাচালানের মালামাল আটক করতে পুলিশ রাস্তায় চেকপোস্ট বসালে সেখানে গিয়ে হাজির হয় কামরুলসহ তার দলবল। তারা সেখানে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশ সদস্যদের জিম্মি করে চোরাই পথে আসা পণ্যবাহি গাড়ি গুলো পার্সিং করে দেয় চেকপোষ্ট এলাকা। এ জন্য কামরুল প্রতি গাড়ি থেকে ১ থেকে ১০ হাজার টাকা। নাম প্রকাশ না করা শর্তে পুলিশের এক সদস্য বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা আতংকে থাকি। রাতে আমার পুলিশ সদস্য সংখ্যায় কম থাকায়, কামরুলসহ তার দলবলের লোকজন এসে আমাদেরকে এক রকম জিম্মি করে ফেলে, যার ফলে আমরা চোরাচালানের গাড়িগুলো আটক করতে পারিনা। বিষয়টি থানার ওসির নজরে নিয়ে আসা হয়েছে।

এ ব্যপারে জানতে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ এর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে ফোন রিসিভ করেননি।

Please Share This Post in Your Social Media

All rights reserved © 2024 ourdailybangladesh.com