আজ বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫৪ অপরাহ্ন

Logo
News Headline :
পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অভিযোগ দাখিলের পর ঘুষের ১৯ হাজার টাকা ফেরত দিলেন এসআই সাইফুল ইসলাম চরভদ্রাসন উপজেলা  গাজীরটেকে গাছ কাঁটাকে কেন্দ্র করে  বিরধে গৃহবধূকে অমানবিক নির্যাতন ওশীলতাহানী তজুমদ্দিনে শিশু শ্রমিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার বদলগাছীতে বিয়ে কিশোরীর ছাড়াই সন্তান প্রসব এলাকায় তোলপাড়, পরিবারের অভিযোগ ধর্ষণ। ববি ছাত্রলীগ নেতা আবিদ মাদকসহ গ্রেফতার, পাঁচ দিনের কারাদণ্ড বরিশাল প্রেস ক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটিকে ববি প্রেস ক্লাবের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন বাজিতপুরে মামলা তুলে আনার জন্য বাদীকে হুমকির অভিযোগ বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্টান ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে আড়াই কোটি টাকা অনুদান :- ধর্ম মন্ত্রণালয় জোর করে নারীকে বোরকা পরাবো না: জামায়াতে আমির ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গর্তে পোড়ানো হচ্ছিল নারীর মাথাবিহীন মরদেহ
টঙ্গীবাড়ী দিঘীরপাড়ে তিন ও নয় নং ওয়ার্ডে নেই কোনও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। 

টঙ্গীবাড়ী দিঘীরপাড়ে তিন ও নয় নং ওয়ার্ডে নেই কোনও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। 

Oplus_131072

আক্কাছ আলী (মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি): 

মুন্সীগঞ্জ টঙ্গীবাড়ী উপজেলা দিঘীরপাড় ইউনিয়নের  পদ্মা ছোট শাখা নদীর দক্ষিণ পাড়ের ৩ ও ৯ নং ওয়ার্ড অতি দুর্গম এ গ্রামে নেই পাকা রাস্তাঘাট। চলাচলের জন্য এখনও একটি মাত্র নৌকার ভরসা। নদীভাঙনকবলিত এ গ্রামটিতে শিশু শিক্ষার জন্য নেই কোনও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ফলে দূরের স্কুলে গিয়ে কেউ কেউ পড়তে গেলেও কদিন বাদে ঝরে পড়ছে তারা।

দুর্গম এ গ্রামে স্কুল না থাকায় ৪/৫ কিলোমিটার  পথ হেঁটে কোমলমতি শিশুদের যেতে হয়  স্কুলে। দীর্ঘ  এ পথ পেরোনো তাদের জন্য বেশ কষ্টসাধ্য। কাদামাটির রাস্তা আর নৌকা পার হয়ে যেতে হয় তাদের। ফলে ভয়ে অনেক শিশুই এখন বিদ্যালয়বিমুখ। অভিভাবকরাও থাকেন বেশ শঙ্কায়। এর ফলে বাড়ছে শিশুদের ঝরে পড়ার হার। 

দিঘীরপাড়ের সাথে শরীয়তপুরের উপজেলা নড়িয়ার,সখিপুর, কাঁচিকাটা  নওপাড়া  কিছু গ্রাম মুন্সীগঞ্জের সাথে লাগোয়া। গ্রামগুলো কোমল শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ পথ হেঁটে লেখাপড়া করতে হয়।

গ্রামের মধ্যবর্তী সুবিধাজনক স্থানে রয়েছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর। সেখানে মাথা গোঁজার ঠাঁই পেলেও অন্য সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত এর বাসিন্দারা।

গ্রামের কৃষক মোতালেব মোল্লা বলেন, ‘১০০টি আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দা ছাড়া আমাদের এ গ্রামে বসবাস করছেন আরও প্রায় হাজার পরিবার। প্রতি ঘরেই দুই থেকে তিনটি করে শিশু আছে। এ গ্রাম থেকে ৪/৫ কিলোমিটার  দূরে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল। দূরত্বের কারণেই গ্রামের শিশুরা ঝরে পড়ে স্কুল থেকে। শিশুদের নিরাপত্তার স্বাথে একটি স্কুল এখানে জরুরি হয়ে পড়েছে।’

আশ্রয়ণের বাসিন্দা বৃদ্ধা খাদিজা বেগম বলেন, ‘আমাদের একটা নিজস্ব ঠিকানা হয়েছে। এখন একটি স্কুল হলেই শিশুদের লেখাপড়া নিয়ে আমরা নিশ্চিন্ত হতে পারি।

টঙ্গীবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,আমি আপাতত নতুন জয়েন করেছি।এ বিষয়ে  উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

All rights reserved © 2024 ourdailybangladesh.com