আজ শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৩৯ পূর্বাহ্ন
আক্কাছ আলী (মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি)
মুন্সীগঞ্জ টঙ্গীবাড়ী দিঘীরপাড় বেহেরপাড়া গ্রামে গরু,মোবাইল ও হাঁস-মুরগি চুরির ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে।কয়েক মাস ধরে প্রায় প্রতি রাতেই গ্রামে চুরির ঘটনা ঘটছে। শীতের কুয়াশা বাড়ার সাথে সাথে বেড়েছে চুরির তীব্রতাও। এর ফলে চুরির আতঙ্কে ভুগছে গ্রামবাসী।গত কয়েক মাসে এই গ্রামে আনুমানিক ১০ টিরও বেশি চুরির খবর পাওয়া গেছে। এই পরিস্থিতিতে কৃষক ও খামারিরা চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। অনেকেই চুরি ঠেকাতে রাত জেগে পাহাড়া দিচ্ছেন, আবার অনেকে বাধ্য হয়ে গোয়ালঘরেই রাত কাটাচ্ছেন।
জানা গেছে, দিঘীরপাড়ের চরঅঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় গরু চুরির সক্রিয় সিন্ডিকেট কাজ করছে। বিশেষ করে গ্রামে চোরদের কয়েকটি গ্রুপ রয়েছে। এরা গভীররাতে গোয়ালঘর ফাঁকা করে দেয়।এবং বাড়িতে সিঁদ কাটে এসব বাড়িতে থেকে চোর,মোবাইল ফোন,রুপার নুপুর,নগদ টাকাসহ বিভিন্ন জিনিস নিয়ে যায়।
মোটরসাইকেল চালক, মোহাম্মদ নবীর হোসেন বলেন,আমার গোয়াল ঘর থেকে গরু চুরি করতে এসে মোটরসাইকেল পেয়ে তারা আমার একমাত্র আয়ের বাহন মোটরসাইকেলটি চুরি করে নিয়ে যায়।অনেক খোঁজাখুঁজি করার পরও তার সন্ধান পায়নি।
তিনি আর বলেন, আমার দুটি গরু থাকার কারণে দ্বিতীয় বার চুরির ভয়ে বিষয়টি পুলিশকেও জানানো হয়নি।
স্থানীয়রা বলেন, দিঘিরপাড় ইউনিয়নে পুলিশ ফাঁড়ি থাকার শর্তেও চোর চক্রটি তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
লাগাতার চুরির ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা। তারা আরো ও বলেন, ‘বাড়িতে বউ-বাচ্চাকে একা রাখতেও ভয় লাগছে। দ্রুত এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
চুরির বিষয়ে সরেজমিনে জানতে পারি শুক্কুর তপদ্দার থেকে ১টি গরু,রাজাবাড়ীর কৃষকদের পানির পাম্পের ইঞ্জিল চুরির যেন নিত্যদিনার ঘটনা। মহিউদ্দিন মাদবর থেকে একটি গরু এবং সায়েদ জমাদার থেকে দুটি আলু বাক্স চুরি করেছে চোর চক্রটি।
দিঘীরপাড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু কাওসার বলেন,বিষয়টি নিয়ে মাসিক সভায় ইউএনও ও ওসিকে জানানো হবে।চোর চক্রটিকে খুব দ্রুত সনাক্ত করে তাদের আইনে আওতায় নিয়ে আসতে যেন তারা সাহায্য করে।
এ বিষয়ে দিঘীরপাড় ফাঁড়ির পুলিশ ইন্সপেক্টর মোঃ জহির উদ্দিন বলেন, আমরা খুব শীঘ্রই ওই গ্রামে আইনশৃঙ্খলা সভা করা হবে।চোর চক্রটিকে সনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।