আজ শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৫০ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি মৌলভীবাজার
আদালতেরর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমি দখলের চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্সেলনে লিখিত অভিযোগ করেন।
লিখিত অভিযোগ তুলে ধরা হলো
আমি মিরা দাশ, স্বামী: মঙ্গল লাল রবি দাস, সাং- মির্জাপুর, থানা- শ্রীমঙ্গল, জেলা: মৌলভীবাজার
সম্মানিত সাংবাদিক ভাইয়েরা,
আজ আমি আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি আপনাদের লেখনির মাধ্যমে আইনের সুশাষন প্রতিষ্টার লক্ষ্যে আমি ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায়। মৌলভীবাজার সহকারী জজ আদালত শ্রীমঙ্গলের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আমাদের মৌরসী জমি দখলের চেষ্টার প্রতিবাদ জানাতে। শ্রীমঙ্গল থানার ১ নং মির্জাপুর ইউনিয়নের উত্তর বৌলাছড়া গ্রামের মৃত মনু মিয়ার পুত্র সুরুজ মিয়া গং মৌলভীবাজার সহকারী জজ আদালত শ্রীমঙ্গলের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঘর নির্মাণ করার চেষ্টা করছে।
আমরা খুব নিরীহ অসহায় অবহেলিত মানুষ। আমাদের মাথা গুজার মতো ঠাঁই নাই। আমার শ্বশুর রাম তারুয়া রুহী দাস ২০০১ সালে মো: মখলিছুর রহমানের নিকট থেকে শ্রীমঙ্গল উপজেলার যাত্রাপাশা মৌজার জেএল নং-১১, এসএ খতিয়ান নং- ৫৬৮. আর এস ডিপি খতিয়ান নং ২৭৭, এসএ দাগ নং ৩০, আর এস দাগ নং ৪১, . ২১ শতক ভূমির মধ্যে, ১৩ শতক ভূমি ৩৩৫১ নং রেজিষ্টারী দলিল মুলে ক্রয় করে স্বত্ব দখলদার হন। বহু কষ্টে, ১৩ শতক ভূমি আমাদের মাথা গুজার ঠাঁই করে বাড়ি তৈরীর জন্য ক্রয় করে রেখে ছিলেন। কিন্তু অভাব অনটনের কারনে ঘর বাড়ি তৈরী করতে পারেননি। আমরাও কয়েকটি বাঁশের খুটি পুতে ঘর তৈরীর প্রস্তুতি নিয়েছিলাম, কিন্তু অর্থ অভাবে পারিনি। রাম তারুয়া রুহী দাসের মৃত্যুর পর দুই পুত্র মোহন লাল রবি দাস ও মঙ্গল লাল রবি দাস মৌরসী সুত্রে মালিক হন। পরবর্তীতে মোহন লাল রবি দাসের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী লক্ষী রানী ও তার চার পুত্র সন্তু লাল রবি দাস, মঞ্জু লাল রবি দাস, সঞ্জু লাল রবি দাস, রঞ্জু লাল রবি দাস মালিক হন। ইদানিং মির্জাপুর, কাশিপুর গ্রামের বাসিন্ধা সুরুজ মিয়া গং আমাদের বাঁশের পুতে রাখা খুটিতে ২৩/০১/২৪ ইং রাতের অন্ধকারে টিনের বেড়া ও ঘরের চালে টিনের ছাউনি দিয়ে ঘর তৈরী করে নেয়। সে খুব অসৎ প্রকৃতির পরের সম্পদ আত্নসাৎকারী লোক। রাম তারুয়া রবি দাস ও আমাদের উত্তরাধীকারিরা দীর্ঘ দিন জীবিকার সন্ধানে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে থেকে মৃত্যুবরন করায় নামজারি করানো সম্ভব হয় নাই। কিন্তু ভোগ দখলে কোন জটিলতা হয়নি। ২০২২ সালে নামজারী করানোর জন্য ইউনিয়ন ভূমি অফিসে খোঁজ নিলে জানা যায় ২১ শতক ভূমি মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক এর নামে আর এস ৪১ দাগে রেকর্ড হয়েছে। বিষয়টি অবগত হওয়ার পর ১১/০৫/২২ ইং লক্ষী রানী রবি দাসসহ অন্যান্য ওযারিশান বাদী হয়ে মৌলভীবাজার সহকারী জজ আদালত শ্রীমঙ্গল বরাবরে জেলা প্রশাসক মৌলভীবাজারকে বিবাদী করে মামলা দেওয়া হয় । মামলা নং ৯০/২২ ইং। গত ০৬/০২/২৩ ইং বিজ্ঞ আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন ।
সম্মানিত সাংবাদিক বৃন্দ,
জাতির বিবেক আপনারা, সমাজের দর্পণ। আপনাদের লেখনি মাধ্যমে সমাজে ন্যায় বিচার পায় আমাদের মতো অসহায় নিরীহ মানুষেরা। আপনারা আমাদের বিষয়টি লেখনির মাধ্যমে প্রকাশ করে ন্যায় বিচার পাওয়ার সহযোগীতা করার জন্য আবেদন করছি।
দীর্ঘ সময় নিয়ে আপনাদেরে কষ্ট দেওয়ার জন্য আপনাদের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি। এ প্রসঙ্গে আইনি প্রতিকার পাওয়ার জন্য আপনাদের স্মরনাপন্ন হয়েছি।