আজ বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৪৪ অপরাহ্ন
আওয়ার ডেইলি বাংলাদেশ ডেস্ক:-
উৎপাদক পর্যায় থেকে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে সোনালি ও ব্রয়লার মুরগি এবং ডিমের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার।
রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হকের সই করা চিঠিতে সংশ্লিষ্টদের এ দাম বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, ডিম খুচরা পর্যায়ে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা, সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ২৬৯ টাকা ৬৪ পয়সা এবং ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৭৯ টাকা ৫৯ পয়সা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এবং পোলট্রি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের নেতাদের সমন্বয়ে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠিত হয়েছে।
গ্রুপের মতামতের ভিত্তিতে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ২০২৪ সালের মুরগি (সোনালি ও ব্রয়লার) ও ডিমের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করেছে জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, কৃষি মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে মুরগি (সোনালি ও ব্রয়লার) ও ডিমের দাম নির্ধারণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্ধারণ করা যৌক্তিক মূল্য সঠিকভাবে বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে চিঠিতে ২০২৪ সালের মুরগি (সোনালি ও ব্রয়লার) ও ডিমের নির্ধারিত যৌক্তিক মূল্য (উৎপাদক, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে) সঠিকভাবে বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। ডিমের মূল্য উৎপাদক পর্যায়ে ১০ টাকা ৫৮ পয়সা, পাইকারি পর্যায়ে ১১ টাকা ০১ পয়সা এবং খুচরা পর্যায়ে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া কেজিপ্রতি সোনালি মুরগি উৎপাদক পর্যায়ে ২৬০ টাকা ৭৮ পয়সা, পাইকারি পর্যায়ে ২৬৪ টাকা ৫৭ পয়সা এবং খুচরা পর্যায়ে ২৬৯ টাকা ৬৪ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর কেজিপ্রতি ব্রয়লার মুরগি উৎপাদক পর্যায়ে ১৬৮ টাকা ৯১ পয়সা, পাইকারি পর্যায়ে ১৭২ টাকা ৬১ পয়সা এবং খুচরা পর্যায়ে ১৭৯ টাকা ৫৯ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সব বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পরিচালক ছাড়াও বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন, ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, ওয়ার্ল্ড পোলট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল, বাংলাদেশ পোলট্রি খামার রক্ষা জাতীয় পরিষদ, অ্যানিমেল হেলথ কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশসন অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ অ্যাগ্রো ফিড ইনগ্রেডিয়েটস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড টেডিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।