আজ রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:০৫ অপরাহ্ন
পবিপ্রবি প্রতিনিধি:
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকলেও বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস-চেয়ারম্যান সাবেক স্বরাষ্ট্র ও বাণিজ্যমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব:) আলতাফ হোসেন চৌধুরীর আগমনে বিএনপির দুইগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত দুইজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২ টায় পবিপ্রবির মুক্ত বাংলার সামনে এ ঘটনা ঘটে।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি পবিপ্রবির বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন উপলক্ষে প্রশাসনের সাথে প্রস্তুতিমূলক মতবিনিময় সভা করার জন্য আলতাফ হোসেন চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয়ে আগমন করেন। আগমনকে কেন্দ্র করে তার সমর্থক জসিম উদ্দিন হাওলাদার, ইব্রাহিম খলিল, মতিউর রহমান দিপু দাওয়াত পেলেও আনোয়ার হোসেন হাওলাদার গ্রুপ দাওয়াত না পাওয়ায় এ সংঘর্ষ হয়। এতে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ইব্রাহিম ও সদস্য মতিউর রহমান দিপু আহত হয়। আহতদের দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসার পর বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন না করার কারণে হাতাহাতি হয়েছে।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ খলিলুর রহমান বলেন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী(বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান) তার দুমকিতে তথা পবিপ্রবির ক্যাম্পাসে আগমন সম্পর্কে আমরা উপজেলা বিএনপি কিছুই জানিনা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে বহিরাগতদের সংঘর্ষ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে প্রক্টর অধ্যাপক আবুল বাশার খান বলেন,”কীসের দুর্বলতা!আমার উপরও যদি হামলা হয় তাহলে প্রশাসনের কি করার আছে প্রশাসন কি আমাকে সারাদিন পাহারা দিয়ে রাখবে!”
সংঘর্ষের কারণে শিক্ষার্থীদের আতঙ্কিত হওয়ার বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন,”এতে আমার দেখার কিছু নেই।”
পবিপ্রবির রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোঃ ইকতিয়ার উদ্দিন বলেন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ হিসেবে ক্যাম্পাসে আসেন নাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্নে অবদান থাকায় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শুভাকাঙ্খী হিসেবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রস্তুতি বৈঠকে তাকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে।
তবে তার উপস্থিতিতে ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হলে সুস্পষ্ট তথ্য প্রমান এবং অভিযোগের ভিত্তিতে প্রশাসন তার ব্যবস্থা নিবে।
উল্লেখ্য যে, গত ১৩ আগস্ট শিক্ষার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে তৎকালীন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. এস এম হেমায়েত জাহান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে পবিপ্রবি থেকে সকল ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়।