আজ শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০২:০০ অপরাহ্ন

Logo
News Headline :
জলবায়ু সুবিচারের দাবিতে পটুয়াখালী জেলার  তরুণদের জলবায়ু ধর্মঘট ও পদযাত্রা সবজির দাম বেড়েছে, সংকট সয়াবিনের চাঁদপুরে আগুনে পুড়ে ছাই ১৭ দোকান, ব্যবসায়ীদের আহাজারি যৌক্তিক সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে নতুন ফ্যাসিবাদের জন্ম হবে:-ফয়জুল করীম গোপনে ঢাকামুখী হচ্ছেন আ. লীগের নেতাকর্মীরা, ফের অস্থিরতার আশঙ্কা! হেফাজতের দাবি ‘মঙ্গল’ নয়, নাম হোক ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’ আদমপুরে অবৈধ ভাবে বালু পরিবহন করায় একজনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, আরেকজনকে ২ লাখ টাকা জরিমানা আইনজীবী সুজন মিয়া হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীসহ গ্রেফতার ৫ রেকর্ড গড়েই জয় পেল বাংলাদেশ সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে: মির্জা ফখরুল
ভুল রিপোর্টে পা হারাল এক শিক্ষার্থী 

ভুল রিপোর্টে পা হারাল এক শিক্ষার্থী 

পিরোজপুর প্রতিনিধি:

পিরোজপুরের নেছারাবাদে(স্বরূপকাঠি) হেলথ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভুল রিপোর্টের কারণে মো. জিহাদুল ইসলাম (১৪) নামের এক স্কুল শিক্ষার্থী পা কেটে ফেলতে হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারী) জিহাদের সহপাঠীরা ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টার ঘেরাও করে। পরে সেটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

জিহাদ উপজেলার সোহাগদল গ্রামের মো. আমিনুল ইসলাম মিলন মিয়ার ছেলে।

সে স্বরূপকাঠি কলেজিয়েট অ্যাকাডেমির নবম শ্রেণির ছাত্র।

জিহাদের বাবা মিলনের জানান , ২০ দিন আগে তার ছেলে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে ডান পায়ে ব্যথা পান। চিকিৎসার জন্য তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডান পায়ের গোড়ালি এক্সরে করার জন্য প্রেসক্রিপশন লিখে দেন। পরীক্ষা করানোর জন্য তারা জিহাদকে হাসপাতাল সংলগ্ন হেলথ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নিয়ে যান।

সেখানে টেকনেশিয়ান তার পায়ের গোড়ালির পরিবর্তে হাটুর এক্সরে করেন। হাসপাতালের ডাক্তার সে রিপোর্ট অনুযায়ী হাঁটু ব্যান্ডেজ করে দেন। 

কয়েকদিন পর তার পায়ে পচন ধরে। অবস্থা খারাপ দেখে চিকিৎসার জন্য ঢাকার পিজি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে দেখতে পায় জিহাদের পায়ের গোড়ালির রগ ছিড়ে গিয়েছিল।

ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভুল রিপোর্টের কারণে ভুল চিকিৎসায় তার পায়ের ভেতর পচে গেছে। পরে সেখানকার ডাক্তাররা বোর্ড বসিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে জিহাদের পা হাঁটু পর্যন্ত কেটে ফেলেছেন। এ ঘটনায় উপযুক্ত বিচার চান জিহাদের বাবা।

হেলথ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক মো. মাসুদ রানা বলেন, ‘ওই ছেলের কথামতো এক্সরে করে দিয়েছি। ডাক্তারের দেয়া প্রেসক্রিপশন দেখে এক্সরে না করায় আমাদের ভুল হয়েছে।’

এ বিষয়ে নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ভুক্তভোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি সাময়িক বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জেলার সিভিল সার্জনের সাথে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

Please Share This Post in Your Social Media

All rights reserved © 2024 ourdailybangladesh.com