আজ শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:২৮ পূর্বাহ্ন
বাউফল প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর বাউফলে নিজ জমিতে সীমানা নির্ধারন ও পিলার দিতে গেলে দৈনিক খবরপত্র পত্রিকা ও ডেইলি আমাদের বাংলাদেশ প্রতিনিধি এইচ এম বাবলু ও দুই শিক্ষিকাসহ আরও ৫ জনকে কুপিয়ে, পিটিয় আহত ও স্বর্ণালংকার ছিনিনেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার দাশপাড়া ইউনিয়নের খেজুরবাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহতরা হলেন- দৈনিক খবরপত্রের বাউফল উপজেলা প্রতিনিধি এইচ এম বাবলু (৪২), পূর্ব দাশপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শাকিলা জাহান তানজিলা (৩৫), মধ্য কর্পূরকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা জান্নাতুল ফেরদৌস টুলি (৩৮), মোসা. ঝুমুর আক্তার (৩০), ও সাইদুর রহমান সোহেল (৩৫)। এদের মধ্যে গুরুতর আহত তানজিলাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
দাশপাড়া ইউনিয়ন জামায়াতের রোকন ও খেজুরবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা সামসুল হক ওরফে সোনা গাজীর ছেলে মো. শাহ আলম গাজীর নেতৃত্বে ৩০-৪০জন এ হামলা করা হয়েছে জানিয়েছেন আহত সাংবাদিক এইচ.এম বাবলু। তিনি বলেন, ৬৩৪ খতিয়ানের একাধিক দাগে পৈত্রিক সূত্রে আমরা ২একর ৪৯ শতক জমির মালিক। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে শাহ আলম গাজী, তার ভাই মনির গাজী ও চাচাতো ভাই মশিউর ক্ষমতার প্রভাব ঘাটিয়ে আমাদের জমি দখল করে ভোগ করেন। আওয়ামী সরকার পতনের পর আমাদের বেদখল হওয়া জমি উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের সহায়তা চাই। থানার ওসি একাধিক বার সালিশ মিমাংশার চেষ্টা করলেও শাহ আলম গাজীরা জামায়াতের প্রভাব ঘাটিয়ে সালিশি প্রত্যাখান করে জোর করে জমি দখলে রাখেন। ঘটনার দিন আমরা জমির কাছে গেলে শাহ আলম গাজীর নেতৃত্বে তার ভাই মনির ও মশিউর সহ ৩০-৪০জন বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করেন। হামলায় আমি, আমার বোন, ভাবী সহ ৫জন আহত হই।
তবে এবিষয়ে অভিযুক্ত শাহ আলম গাজীর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর তার মুঠোফোনের সংযোগ বন্ধ রয়েছে।
হামলার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দুইজন আটক করা হয়েছে। এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।