আজ শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৩২ পূর্বাহ্ন
পটুয়াখালী প্রতিনিধি:-
আসন্ন এসএসসি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। বাউফল উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে প্রবেশপত্র দেয়ার সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ নেয়া হচ্ছে। বিদ্যালয় ভেদে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে ৬০০- ১০০০ টাকা পর্যন্ত।
উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ও অবিভাবকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ফরম ফিলাপের সময় বোর্ডের নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে অতিরিক্ত ফি নিয়ে ফরম ফিলাভ করে এবং এডমিড কার্ড সংগ্রহের সময় বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে বিদ্যালয় গুলো ৭০০ থেকে ১০০০ পর্যন্ত টাকা নেয়। কালিশুরি ইউনিয়নের ছিটকা মহসিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের হিসাব রক্ষক বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট ভাতা, শিক্ষক ফি বাবদ নেয়া হচ্ছে এই অতিরিক্ত টাকা।
একই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষিকা মরিয়ম আক্তার নিশু বলেন, কালিশুরি কেন্দ্র সচিব জহির উদ্দিন মিটিং এর মাধ্যমে বিবিধ খরচ বাবদ প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আমাদের নির্দেশনা দিয়েছে ৬০০ টাকা করে নেয়ার, সেক্ষেত্রে আমরা ৭০০ টাকা করে নিচ্ছি। এগুলো কেন্দ্রের বিভিন্ন খরচ ও বেঞ্চ আনা নেয়ার জন্য লাগে।
কালিশুরি স্যাইয়্যেদুল অরেফিন ইনস্টিটিউশনের হিসাবরক্ষক অভিযোগ এড়িয়ে বলেন আমরা ফরম ফিলাপের সময় কেন্দ্র ফি নেই নি, তাই এখন প্রবেশ পত্র দেয়ার সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৬০০ করে টাকা নিচ্ছি। এর বেশি জানতে হলে প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করেন। এ ব্যাপারে কালিশুরি এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব ও ধুলিয়া স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন বলেন, আমি কাউকে প্রবেশ পত্র দিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রের খরচ বাবদ কোন অর্থ নিতে বলি নি।
কেউ যদি বলে এটা মিথ্যা বলে ফোনটি কেটে দেয়। বাউফল উপজেলার নির্বাহী অফিসার বলেন, এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ার অভিযোগ পেলে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। বরিশাল মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের উপ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কামাল বলেন, মন্ত্রনালয় ও বোর্ডের নির্দেশনা ব্যাতিত যদি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেয়া হয়, তাহলে সে দায়ভার ঐ প্রতিষ্ঠানের। কোন প্রতিষ্ঠান যদি এমন করে থাকে তাহলে ঐ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।