আজ বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৫ অপরাহ্ন
ডেস্ক নিউজ :-
বরিশালেরবাবুগঞ্জ উপজেলায় বিএনপি’র ইউনিয়ন কমিটি গঠন নিয়ে তৃণমুলে অসন্তোষ দেখা দিয়েছ কমিটিতে স্থান পেয়েছে সর্বহারা, মাদক ব্যবসী ও আওয়ামী ঘরোয়ানার লোক চরম বিতর্ক দেখা দিয়েছে বিএনপি’র তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে।
উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক ও সদস্য সচিব তৃণমূলের মতামতের তোয়াক্কা না করে ত্যাগী ও রাজপথে আন্দোকারীদের বাদ দিয়ে কমিটি দিয়েছেন ভাগাভাগি করে। একজনের আহবায়ক অপর জনের সদস্য সচিব এভাই করা হয়েছে কমিটি।
বাবুগঞ্জ উপজেলা ৬টি ইউনিয়ন নিয়ে চলছে বিএনপি’র মেয়াদউত্তীর্ণ কমিটি ভেঙ্গে আহবায়ক কমিটি গঠন।
তার ধারবাহিকতা ইতিমধ্যে ৪টি ইউনিয়নে কর্মীসভা থেকে পুরানো কমিটি বিলুপ্ত করে করা হচ্ছে নতুন কমিটি। ১নং জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের আহবায়ক করা হয়েছে আঃ মালেক সিকদার, সদস্য সচিব মামুন। আঃ মালেক সিকদার, সুলতান আহম্মেদ এর লোক এবং মামুন প্রিন্সের লোক। মামুনের বিরুদ্ধে ৫ আগষ্ট সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে চাঁদাবাজি, গণছিনতাই এবং ধর্ষণের মতো অভিযোগ রয়েছে। বাবুগঞ্জে থানায় একটি মামলা তদন্তাধীন অবস্থায় আছে। সদস্য সচিব মামুন পূর্বে কোন পদ পদবী না থাকলেও উপজেলা সদস্য সচিব প্রিন্স এর ঘনিষ্ঠ হওয়ায় ভাগিয়ে নিতে সক্ষম হন ইউনিয়ন সদস্য সচিবের পদ।
২নং কেদারপুর ইউনিয়নের অবস্থা আরও ভয়াবহ। এই ইউনিয়নে আহবায়ক কর হয়েছে মোঃ কামাল হোসেন ও সদস্য সচিব করা হয়েছে মোস্তফা দুয়ারী। কামাল হোসেন, সুলতান খানের ঘনিষ্ঠ লোক, তিনি আওয়ামীলীগের দোষর হিসেবে এলাকায় ব্যপক পরিচিত। কেদারপুরের বিএনপি এবং সাধারণ মানুষকে তাহার হাতে নির্যাতিত ও জিম্মি ছিল দীর্ঘবছর। আওয়ামীলীগের মনোনীত ইউপি চেয়ারম্যান নুর আলম এর ভায়রা ভাই। সদস্য সচিব মোস্তফা দুয়ারী, যিনি প্রিন্সের লোক যাকে বিগত দিনে রাজপথে কোন আন্দোলন সংগ্রামে দেখা যায়নি। তিনি ও আওয়ামীগের দোষর ছিলেন। আওয়ামীলীগ কমসূচীতে অংশগ্রহনের ছবি সোস্যাল মিডিয়াতে ভেষে বেড়ায় তিনি এক সময় সর্বহারা পার্টির সাথে জড়িত ছিলেন।
৩নং দেহেরগতি ইউনিয়নে যে কমিটি হয়েছে।এটি সবচেয়ে আওয়ামীলীগ ঘরোয়ানা বেশী লোকজন স্থান পেয়েছে। যাদের অনেকই রয়েছে আওয়ামীলগের কর্মকান্ডে জড়িত থাকার ছবি। বিতর্কিত লোকজন নিয়ে কমিটি দেওয়ায় একের পর এক সোস্যাল মিডিয়াতে দেখা যায় তাদের ছবি। যার প্রেক্ষিতে একজনের পদ স্থগিত করা হয়েছে। জানাযায় আহবায়ক এবিএম মোস্তাফিজুর রহমান ফারুক হোসেন প্রিন্সের লোক এবং সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন হেমায়েত, সুলতান খানের লোক।
৪নং মাধবপাশা ইউনিয়নের সুলতান খানের নিজ এলাকায় হওয়ায় এই এলাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়ায় হয়। অপরদিকে চাঁদপাশা ইউনিয়ন উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব প্রিন্সকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আহবায়ক মাধপাশা ইউনিয়ন আহবায়ক এর কথা শোনা যায় সুলতানের আপন ছোটভাই অহেদুলকে আহবায়ক এবং ঢাকাস্থ ব্যবসায়ী মিন্টু তালুকদারকে দিয়ে কমিটি প্রস্তুত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগের নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর অভিযোগ রয়েছে। যার ছবি সোস্যাল মিডিয়া দেখা যায়। সুলতান খান উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক এবং তার আপন ছোট ভাই অহেদুল ইসলাম উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক এবং মাধবপাশা ইউনিয়নের আহবায়ক থাকায় জনমনে প্রশ্ন উঠছে পরিবার কেন্দ্রীক বিএনপি’র কমিটি।
ঢাকার স্থায়ী ব্যবসায়ী মিন্টু তালুকদার সদস্য সচিব করায় উপজেলা বিএনপি’ আহবায় সুলতান খানের বিরুদ্ধে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ারও অভিযোগ উঠছে।
৫নং রহমতপুর ইউনিয়নে আহবায়ক হিসেবে শোনা যায় আঃ করিম হাওলাদার এর নাম। যিনি বিগত ২২ বছর যাবত সভাপতি দায়িত্ব পালন এবং উপজেলা কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়কের ও দায়িত্ব পালন করছেন। একই ব্যক্তি গুরুত্বপূর্ণ দু’টি পদ দখল করে আছেন। তিনি প্রিন্সের লোক হিসেবে পরিচিত। সদস্য সচিব হিসেবে যার নাম শোনাযায় রাজন সিকদার। তার বিরুদ্ধে রয়েছে নানান অভিযোগ, মাদক ব্যবসাসহ চাঁদাবাজি, ছিনতাই, জমিদখল, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনসহ একাধিক মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। হাসিনা সরকারের আমলের আওয়ামীপন্থী স্বরাষ্ট সচিব (অব) হারুন অর রশিদ ক্যাডার হিসেবে পরিচিত। বিএনপি’র বর্জনকরা ইউপি নির্বাচনে সচিব হারুন অর রশিদ এর ভাই মন্টু বিশ^াস ও তার মামা দেলোয়ার হোসেন রাঢ়ী নির্বাচনে প্রচারনা চালিয়ে ব্যাপক বিতর্কিত হয়েছেন।
৬নং চাঁদপাশা ইউনিয়নের কমিটি প্রদান করবেন সদস্য সচিব অহেদুল ইসলাম প্রিন্স তার নিজ এলাকা হিসেবে ইচ্ছামত পারিবারিক কিংবা পকেট কমিটি করতে যাচ্ছেন এমনটাই শোনা যাচ্ছে।
ইতিমধ্যে ঘোষিত ইউনিয়ন কমিটি নিয়ে বিএনপি’র তৃণমূলে ক্ষোভের সৃস্টি হয়েছে। নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন অবৈধ অনৈতিক সুবিধা নিয়ে পরিবারকেন্দ্রীক ও পকেট কমিটির ফলে বিএনপি’র সাংগঠনিক ভীত দূর্বল হয়ে পরবে।ত্যাগীদের মূল্যয়ন করা খুবই জরুরী। কেন্দ্র থেকে ত্যাগীদের মূল্যয়ন করার তাগিত থাকলে বাবুগঞ্জে তা করা হচ্ছেনা নেতাকর্মীরা বিএনপি’র স্থানীয় অভিভাবক এ্যাড. জয়নাল আবেদীন দৃষ্টি ও হস্তক্ষেপ কামনা করছেন যাতে করে রাজপথে থাকা আন্দোলনকারী ও ত্যাগী নেতাদের নিয়ে ইউনিয়ন কমিটি গঠন করা হয়।
এ বিষয়ে বাবুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সুলতান আহমেদ খান বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন বিএনপি এবং তার অঙ্গ সংগঠেনর কমিটি হবে তৃনমূলের মতামতের ভিত্তিতে। কারো সুপারিশ ও অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে কমিটি গঠনের প্রশ্নই আসেনা।
বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আবুল কালাম শাহীন বলেন, অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে কমিটি গঠনের কোনো সুযোগ নেই। অভিযোগ থাকলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।