আজ বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০২ অপরাহ্ন

Logo
News Headline :
পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অভিযোগ দাখিলের পর ঘুষের ১৯ হাজার টাকা ফেরত দিলেন এসআই সাইফুল ইসলাম চরভদ্রাসন উপজেলা  গাজীরটেকে গাছ কাঁটাকে কেন্দ্র করে  বিরধে গৃহবধূকে অমানবিক নির্যাতন ওশীলতাহানী তজুমদ্দিনে শিশু শ্রমিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার বদলগাছীতে বিয়ে কিশোরীর ছাড়াই সন্তান প্রসব এলাকায় তোলপাড়, পরিবারের অভিযোগ ধর্ষণ। ববি ছাত্রলীগ নেতা আবিদ মাদকসহ গ্রেফতার, পাঁচ দিনের কারাদণ্ড বরিশাল প্রেস ক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটিকে ববি প্রেস ক্লাবের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন বাজিতপুরে মামলা তুলে আনার জন্য বাদীকে হুমকির অভিযোগ বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্টান ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে আড়াই কোটি টাকা অনুদান :- ধর্ম মন্ত্রণালয় জোর করে নারীকে বোরকা পরাবো না: জামায়াতে আমির ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গর্তে পোড়ানো হচ্ছিল নারীর মাথাবিহীন মরদেহ
বরগুনায় নকশা জটিলতায় মাঝ পথে থেমে গেছে ব্রিজ নির্মাণকাজ

বরগুনায় নকশা জটিলতায় মাঝ পথে থেমে গেছে ব্রিজ নির্মাণকাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

 বরগুনার তালতলী উপজেলায় কাজ শুরু করে নকশার জটিলতায় মাঝ পথে থেমে আছে একটি ব্রিজ নির্মাণের কাজ। দীর্ঘদিন ধরেও ট্যাংরাগিরি ইকো পার্কে যাওয়ার একমাত্র এ সেতুটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন না হওয়ায় ভোগান্তি পোহাচ্ছেন ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা। তবে নকশার জটিলতা সমাধান করে দ্রুতই নির্মাণকাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বরগুনা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মেহেদী হাসান খান।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরগুনার তালতলীতে নির্মিত বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য টেংরাগীরি ইকোপার্ক সংলগ্ন একটি ছোট খাল পার হয়ে দর্শনার্থীদের ভেতরে প্রবেশ করতে হয়। এক সময় ওই খাল পারাপারে লোহার একটি ব্রিজ থাকলেও তা ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় গত ২০২০-২১ অর্থবছরে সেটি ভেঙে ফেলা হয়।

পরে দর্শনার্থীদের ইকোপার্কে প্রবেশ করতে এলজিইডি একটি ব্রিজ নির্মাণকাজ শুরু করে। তবে দুইপাড়ের কাজ শেষ হলেও নকশার জটিলতায় দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে থেমে আছে মাঝের অংশের নির্মাণকাজ। খাল থেকে উচ্চতা কম হওয়ায় বসানো হয়নি মাঝখানের স্প্যানটি।

সরেজমিনে নির্মাণাধীন ব্রিজটি ঘুরে দেখা গেছে, ছোট খালটি হয়ে সমুদ্রগামী ছোট বড় মাছ ধরার ট্রলার চলাচল করে। নির্মাণাধীন ব্রিজটির নির্ধারিত নকশার উচ্চতা অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন করলে নিচ দিয়ে এসব ট্রলার চলাচল করতে পারবে না।

এ বিষয়ে উপযুক্ত পরিকল্পনা না করেই ব্রিজ নির্মাণ শুরু করায় মাঝপথে থেমে যায় কাজ। এতে খালটি পার হয়ে টেংরাগীরি ইকো পার্কে যেতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দা ও দর্শনার্থীদের। তবে বিকল্প হিসেবে বর্তমানে ছোট একটি নৌকার ব্যবস্থা থাকলেও ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন পারাপার হচ্ছেন তারা।

তালতলী টেংরাগীরির স্থানীয় বাসিন্দা মো. জহিরুল ইসলাম ছোটন বলেন, আমাদের এলাকার এ ব্রিজটি দীর্ঘদিন ধরে নির্মাণাধীন অবস্থায় পড়ে আছে। এখানে অসংখ্য পর্যটক টেংরাগীরি ইকোপার্ক দেখতে এসে শুধু এ ব্রিজটির কারণে বিপদে পড়েন।

ফলে যে আগ্রহ নিয়ে তারা এখানে আসেন, পরে তা হারিয়ে ফেলেন। ইকোপার্কের মধ্যে হরিণ, বানর, বাঘ ও কুমিরসহ যা কিছু আছে তা দেখতে হলে ছোট নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয়। সরকারের কাছে আবেদন করি যাতে দ্রুত আমাদের এ ব্রিজটির কাজ শেষ হয়।

নুরুল আহাদ অনিক বলেন, টেংরাগীরি ইকোপার্কে প্রবেশ করতে যে ব্রিজটি নির্মাণাধীন আছে তা সঠিক পরিকল্পনা না করেই করা হয়েছিল। মাঝপথে নির্মাণকাজ থেমে যাওয়ায় একদিকে যেমন সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, তেমনি পর্যটকদের উপস্থিতিও কমেছে। এতে এখানের ইকো পার্কটি থেকে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে।

টেংরাগীরি ইকোপার্ক ঘুরে আসা রিয়াজ আহমেদ মুসা বলেন, তালতলী বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য যে ইকোপার্ক আছে সেখানে গিয়ে আমরা একটি বিড়ম্বনায় পড়ি। প্রায় দুই তিন বছর ধরে প্রবেশমুখের ব্রিজটির কাজ বন্ধ থাকায় ঝুঁকি নিয়ে আমাদের খেয়া পার হতে হয়।

যেহেতু বনের মধ্যে ভারী কোনো যানবাহন যাবে না, সেক্ষেত্রে এখানে এত বড় মানের একটি ব্রিজ নির্মাণের প্রয়োজন ছিল না। ছোট ও হালকা একটি ব্রিজ নির্মাণ করলেই হতো। অনেক সময় লুটপাটের প্রয়োজনেও এমন বড় বড় কাজ করা হয়। এটা রাষ্ট্রের আর্থিক অপচয় ছাড়া আর কিছুই না।

এদিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে আবারও ব্রিজটির নির্মাণকাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বরগুনা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মেহেদী হাসান খান। তিনি বলেন, আমি এখানে আসার আগেই ব্রিজটির নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে আছে।

ইকোপার্কের সংযোগকারী এ ব্রিজটি দীর্ঘদিনেও চালু না হওয়ায় স্থানীয় পর্যটক ও বাসিন্দারা একটি ভোগান্তির মধ্যে আছেন। ফাইলপত্র দেখে জেনেছি ব্রিজটির উচ্চতা পরিবর্তনের জন্য নকশার পরিবর্তন করা হয়েছে। এবং তা অনুমোদনের জন্য ঢাকা প্রকল্প পরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে।

তবে এখন পর্যন্ত তা অনুমোদন হয়নি। বর্তমানে প্রকল্প অফিসে মতামত পর্যায়ে রয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করে জেনেছি যে দ্রুতই এটির অনুমোদন হবে। এছাড়া ব্রিজ নির্মাণকাজে নিয়োগপ্রাপ্ত ঠিকাদারের সঙ্গেও কথা হয়েছে। আশা করি অনুমোদন পেলেই এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে আবারও ব্রিজটির নির্মাণকাজ শুরু হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

All rights reserved © 2024 ourdailybangladesh.com