আজ বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:২০ পূর্বাহ্ন
নিজেস্ব প্রতিবেদক
গলাচিপা পৌরসভায় সরকারি কলেজের পূর্ব পাশে ৯টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। শনিবার ভোর রাতে (শুক্রবার দিবাগত রাতে) নাসিরের চায়ের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এতে ঘরসহ প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। আগুনের খবর পেয়ে স্থানীয় মানুষ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি টিম আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। পরে খবর পেয়ে গলাচিপা ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ক্ষতিগ্রস্ত অসিম মিয়ার ফলের দোকান, মিরাজের মুদি ও মনোহরী, গোপালের সেলুন, আবুল কালাম আকনের ডলফিন বাস কাউন্টার, ইলিয়াস হোসেনের স্টেশনারী, নাসির উদ্দিনের ভাতের হোটেল, মজিবর রহমানের স্টেশনারি, মনির হোসেনের স্টেশনারি ও খলিল মিয়ার চায়ের দোকান। ঘর মালিক মাসুদুর রহমান বলেন, শুক্রবার রাতে সবাই দোকান বন্ধ করে চলে যায়। পরে রাত ৪টার দিকে রাস্তায় মানুষের আগুন আগুন বলে ডাকচিৎকার শুনে আমরা ছুটে আসি।
আমাদের ডাক চিৎকার শুনে পাশেই অবস্থানরত সেনাবাহিনীর ক্যাম্পের সদস্যরা ছুটে আসে। তারাও জনগণের সাথে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। পরে ফায়ার সার্ভিসের টিম ঘন্টাব্যাপী চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আরেক ঘর মালিক মেহেদী হাসান শাওন বলেন, গলাচিপা ফায়ার সার্ভিসের আগের যে নম্বর ছিলো তা বন্ধ পাওয়ায় ট্রিপল নাইনে কল দিয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। নম্বর সবার জানা থাকলে হয়তো এতো ক্ষয়ক্ষতি হতো না।
এ বিষয়ে গলাচিপা ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশন অফিসার মো. কামাল হোসেন বলেন, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের কারণে আগুন লাগে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়। আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। তিনি আরো বলেন, সারা দেশেই মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন নম্বর আমরা সবাইকে জানিয়ে দিবো।