আজ বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:২১ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক :–
চট্টগ্রামে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যা ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ এবং ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে বরিশাল আদালত চত্বরে ইসলামী আইনজীবী পরিষদের উদ্যোগে এ মিছিল করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী শওকত আলী হাওলাদার, ইসলামী আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান, ইসলামী আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় সহকারী সম্পাদক ও বরিশালের সভাপতি অ্যাডভোকেট শেখ আব্দুল্লাহ নাসের, অ্যাডভোকেট আব্দুল করীমসহ বরিশাল বারের আইনজীবীরা।
ইসলামী আইনজীবী পরিষদ বরিশালের সভাপতি অ্যাডভোকেট শেখ আব্দুল্লাহ নাসের বলেন, হিন্দুরা আমাদের ভাই, তারা আমাদের শত্রু না। কতিপয় নেতাকে উস্কে দিয়ে, তাদের দ্বারা সহজসরল হিন্দু ভাইদের রাস্তায় নামিয়ে দেশে হিন্দু-মুসলিমের দাঙ্গা বাধানোর পাঁয়তারা করা হচ্ছে, যাতে বহির্বিশ্বে দুষ্কৃতকারীরা বলতে পারে, বাংলাদেশ একটা সাম্প্রদায়িক দেশ, এখানে মানুষের নিরাপত্তা নেই, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নেই। কিন্তু আমাদের শরীরে যে রক্ত, হিন্দু ভাইদের শরীরেও সেই রক্ত, আমরা সবাই একই মানুষ সুতরাং আমাদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ নেই। কিন্তু স্বৈরাচারের দোসররা কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহলকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ অবস্থানকে ধ্বংস করার চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, আজ দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসার যে প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে, সেটিকে ব্যাহত করার জন্য এ ধরনের ঘটনা একের পর এক ঘটানো হচ্ছে। এই সকল ক্ষেত্রে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ জড়িত। তাদের ছত্রছায়ায়, আভরণে আবৃত হয়ে আন্দোলন করা হচ্ছে, তারা যে কাজ করছে সবগুলো বেআইনি। বিচার করবে আদালত এখানে আমাদের কোনো বিষয় নেই। মামলা হয়েছে আদালত ন্যায় বিচার করবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা। আমরা চাই এদেশে শান্তি- শৃঙ্খলা বজায় থাকুক। হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ সকলের ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে এইদেশের গণতন্ত্র অব্যাহত থাকুক। আইনজীবীকে যারা হত্যা করেছে, ইসকনের যারা এ ধরনের ঘটনার সাথে জড়িত তাদের প্রত্যেককে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হোক।
এ সময় আইনজীবী নেতৃবৃন্দ বলেন, চট্টগ্রামে আলিফ হত্যাকাণ্ড কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এটা সন্ত্রাসী ও জঙ্গি গোষ্ঠী ইসকনের দীর্ঘদিনের নৃশংস হত্যাযজ্ঞের একটি দৃশ্যায়ন। সুতরাং এই ঘটনাকে সর্বোচ্চ আমলে এনে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুবনেতা মাওলানা সানাউল্লাহ, আরমান হোসাইন রিয়াদ, অ্যাডভোকেট মনির হোসাইন সহ অন্যান্যরা।