আজ রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:০৯ অপরাহ্ন
পিরোজপুর প্রতিনিধি:
গাছের সাথে এ কেমন নিষ্ঠুরতা। পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে শত্রুতার জের ধরে তরুণ উদ্যোক্তা সাইফুল ইসলামের ৫৪ শতাংশ জমির গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কৃষক আব্দুর রব হাওলাদারের বিরুদ্ধে। এতে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ভুক্তভোগী ওই উদ্যোক্তা। রোববার (১৬) ফেব্রুয়ারী) রাতে উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের মধ্য বালিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত ওই তরুণ উদ্যোক্তা সাইফুল ইসলাম মৃধা একই এলাকার বাসিন্দা।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই তরুণ উদ্যোক্তা সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে আজ মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে ইন্দুরকানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান বিন মোহাম্মদ আলী বরাবর ওই কৃষকের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সংসারে সচ্ছলতা আনতে স্বপ্ন নিয়ে কয়েকমাস আগে ৫৪ শতাংশ জমিতে পরিক্ষা মূলক ভাবে কুমরা, লাউ, শসা ও বেগুন চারা রোপণ করেছিলেন উদ্যোক্তা সাইফুল। প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা খরচ করে গাছগুলোকে উপযোগী করে তোলেন। প্রতিদিনের মতো রবিবার সকালে ক্ষেতে পানি দিতে যান তিনি। এসময় দেখেন এক হাজার দুইশত ৫০টি গাছের গোঁড়া থেকে কাটা রয়েছে।
ভুক্তভোগী উদ্যোক্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি যুব উন্নয়নে ট্রেনিং নেওয়ার পরে উদ্যোক্তা হিসেবে সফলতা অর্জনের লক্ষ্যে এক বছর চুক্তিতে জমি নিয়েছি। কিন্তু এই জমি আব্দুর রব হাওলাদার গতবছর নিয়েছিলো। তবে এ বছর নিতে না পারায় দীর্ঘদিন ধরে তার সঙ্গে বিরোধ চলে আসছে। প্রতিটি গাছে ফল ধরেছে। কুমরা গাছ ৫ শতটি, শসা গাছ ৩ শত ৫০টি, বেগুন গাছ ৪ শতটি এতে ছোট-বড়ো ফলসহ এসব গাছ কেটে ফেলা হয়। এতে প্রায় তিন লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও জানান এই উদ্দোক্তা।
অভিযোগ অস্বীকার করে আব্দুর রব হাওলাদার জানান, সাইফুলের পরিবারের সঙ্গে আমাদের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। তার জন্য আমাকে ফাঁসাতে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে।
বালিপাড়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বাবুল জানান, ভুক্তভোগী সাইফুল ইসলাম এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দাখিল করছে। অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ইন্দুরকানী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কামরুন নেছা সুমি বলেন, এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমি ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছি। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ইন্দুরকানী থানার ওসি মারুফ হোসেন বলেন, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পাইলে আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।