আজ শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৫ অপরাহ্ন
খেলা ডেস্ক :-
প্রথম সেশনে যা হলো, দ্বিতীয় সেশনেও হলো ঠিক তাই। মানে সংখ্যার দিক থেকে আরকি। ৮৮ রান, ৩ উইকেট গেল দুই সেশনে। তবে দ্বিতীয় সেশনটা শেষে একটা বিষয় পরিস্কার, বাংলাদেশ চলে এসেছে চালকের আসনে।
প্রথম সেশন শেষে ধারাভাষ্যকার তামিম ইকবাল, হার্শা ভোগলে বা রবি শাস্ত্রীদের সবাই এক বাক্যে স্বীকার করেছিলেন, সেশনটা দুই দল ভাগাভাগি করেছে। তবে তামিমের কথা ছিল, আরও একটা উইকেট তুলে নিতে পারলে বাংলাদেশ চলে যেত চালকের আসনে।
দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশ তার চেয়ে বেশি কিছুই করেছে। ৩৪ রানে ৩ উইকেট খুইয়ে বসার পর ভারত ঘুরে দাঁড়িয়েছিল জশস্বী জয়সওয়াল আর ঋষভ পান্তের ব্যাটে চড়ে। দুজন মিলে ফিফটি তুলে নেন চতুর্থ উইকেটে, এরপরই বেজেছিল মধ্যাহ্ন বিরতির ঘণ্টা।
তবে তাদের সে জুটিকে দ্বিতীয় সেশনে বেশি দূর এগোতে দেয়নি বাংলাদেশ। ঋষভ পান্তকে ফেরান হাসান মাহমুদ। লোকেশ রাহুলকে নিয়ে আবারও ইনিংস গড়ায় মন দেন জয়সওয়াল। তুলে নেন ঘরের মাঠে টানা পঞ্চম ফিফটি।
তবে তিনিও টেকেননি খুব বেশি সময়। ফিফটির কিছু পরেই তিনি বনে যান নাহিদ রানার শিকার। তার ঠিক তিন বল পর লোকেশ রাহুলও বিদায় নেন মেহেদি হাসান মিরাজের বলে আউট হয়ে। তাতে ১৪৪ রানে ৬ উইকেট খুইয়ে খাদের কিনারে চলে যায় ভারত।
এরপর অবশ্য দুই ‘রবি’ রবিচন্দ্রন অশ্বিন আর রবীন্দ্র জাদেজার ব্যাটে চড়ে ধাক্কা সামলানোর চেষ্টায় আছে ভারত। দুজন মিলে সপ্তম উইকেটে ৩৪ বলে ৩২ রান যোগ করেছেন। তাতে বিরতির আগ পর্যন্ত ১৭৬ রান তুলতে পারে ভারত।
তবে সে যাই হোক। ভারতের লোয়ার মিডল অর্ডারের নাগাল পেয়ে এই সেশনে যে চালকের আসনে চলে এসেছে বাংলাদেশ, তা নিয়ে কোনো সন্দেহের অবকাশই নেই।