আজ রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২১ অপরাহ্ন

Logo
News Headline :
৫০ সেঞ্চুরির স্বপ্ন পূরণ করলেন বিজয় শেখ হাসিনার পক্ষে অনলাইন সভা, ববি শিক্ষকদের ভিডিও ঘিরে সমালোচনার ঝড় বাংলাদেশের মাঠ হলেও প্রথম দিন ছিল জিম্বাবুয়ের নির্বাচন ছাড়া সরকার দীর্ঘদিন থাকলে ফ্যাসিবাদের জন্ম হয় : আব্দুস সালাম বৈষম্যবিরোধী দুই নেতার নেতৃত্বে প্রাইম এশিয়ার পারভেজকে হত্যা, দাবি ছাত্রদলের সরকার দেশের ৫০ ভাগ মানুষকে বাদ দিয়ে সংস্কার প্রস্তাব করছে : জিএম কাদের পারভেজ হত্যা: ৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগ দাবি করলেন নুর নওগাঁর বদলগাছীতে গুচ্ছগ্রামের খাল জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে কমলগঞ্জে ট্রাক্টর উল্টে ইট চাপায় চা শ্রমিক নিহত, আহত-২
বাংলাদেশের মাঠ হলেও প্রথম দিন ছিল জিম্বাবুয়ের

বাংলাদেশের মাঠ হলেও প্রথম দিন ছিল জিম্বাবুয়ের

নিজেস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের ব্যাটিং ইউনিট কাজ করেনি ঠিকঠাক। বোলিং ইউনিটের ওপর ভরসা ছিল। কিন্তু সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম দিনের খেলা যখন শেষ হলো, তখন বাংলাদেশের আক্ষেপ আরেক প্রস্থ বাড়িয়েছে নাহিদ রানা-হাসান মাহমুদদের নির্বিষ বোলিং। অবশ্য, টাইগার বোলারদের কথা বলতে গিয়ে জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার ব্রায়ান বেনেট এবং বেন কারেনের ব্যাটিংকে খাটো করে দেখার অবকাশ নেই।

আলোকস্বল্পতায় দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগে ১৪.১ ওভারে তারা তুলেছেন ৬৭ রান। বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টে জিম্বাবুয়ের জন্য এটা ওপেনিং জুটিতে ৬ষ্ঠ সর্বোচ্চ রান। প্রথম দিনের খেলা শেষে জিম্বাবুয়ে এখনও পিছিয়ে আছে ১২৪ রানে।

যে পিচে রান তুলতে বাংলাদেশের ব্যাটাররা হিমশিম খেয়েছেন পুরোটা দিন, শেষ বিকেলে সেখানেই ওয়ানডে মেজাজে ব্যাট চালিয়ে বোলারদের শাসন করেছেন বেনেট। ৬ চারের সাহায্যে ৩৭ বলে ৪০ রান তার। বেন কারেন অবশ্য টেস্টই খেলেছেন। ৪৯ বলে করেছেন ১৭ রান। বাংলাদেশ অধিনায়ক চার বোলার ব্যবহার করেও পাননি উইকেটের দেখা।

এর আগে দিনের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে লাঞ্চের আগেই দুই ওপেনারকে হারায় বাংলাদেশ। নিয়াগুচির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন দুই ওপেনার সাদমান এবং জয়। এরপর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আর মুমিনুল হকের ব্যাট থেকে আসে ৬৬ রানের জুটি। বাংলাদেশের ইনিংসটাকে ১৯১ পর্যন্ত টেনে নেয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান এই জুটিরই।

লাঞ্চের পর অবশ্য এত সুসময় থাকেনি। দলীয় ৯৮ রানে ফেরেন অধিনায়ক শান্ত। ব্লেসিং মুজারাবানির দিনের প্রথম শিকার তিনি। মুশফিককে নিয়ে মুমিনুল পরের উইকেটে যোগ করেন আরও ২৫ রান। তবে সেখান থেকেই শুরু হয় বিপর্যয়ের। ১২৩ থেকে ১৩৭ রানে যেতেই ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মুমিনুল ৫৬ রান করলেও মুশফিক করেন মোটে ৪ রান। আর মিরাজ আউট হন ১ রান করে।

দলীয় ১৪৬ রানে তাইজুল ইসলাম ফিরে গেলে বড় স্কোরের স্বপ্ন ফিকে হয়ে যায় বাংলাদেশের। তবু ৮ম উইকেটে হাসান মাহমুদকে নিয়ে ৪১ রানের জুটি গড়েন জাকের আলী অনিক। তবে সেটা বাংলাদেশকে নিতে পারেনি দুইশ পর্যন্ত। ওয়েসলি মাধেভেরে এবং মুজারাবানি মিলে বাংলাদেশকে আটকে দেন ১৯১ রানেই।

১৯১ রানের এই সংগ্রহ ফিরিয়ে এনেছে বিব্রতকর রেকর্ডও। সবশেষ ২০০১ সালে এমন এক দিন দেখেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ঢাকায় সেদিন বাংলাদেশ অলআউট হয় ১০৭ রানে। এরপর আর কখনোই দেশের মাটিতে রোডেশিয়ানদের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে অন্তত ২০০ এর নিচে অলআউট হয়নি টাইগাররা। সেটা হলো একেবারে দুই যুগ পর এসে।

Please Share This Post in Your Social Media

All rights reserved © 2024 ourdailybangladesh.com