আজ রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৭ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক নিউজ :-
পটুয়াখালীতে পুলিশ সদস্যের স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে অনশনে বসেন বরগুনার বেতাগী উপজেলার বিথী আক্তার নামে এক তরুণী। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার লাউকাঠী ইউনিয়নের ঢেউখালী গ্রামে এমন ঘটনা ঘটে। বর্তমানে আসাদুজ্জামান মৃধা বরগুনায় কোর্ট পুলিশ হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
২০১৯ সালে সদর উপজেলার লাউকাঠী ইউনিয়নের ঢেউখালী গ্রামের আজিজ মৃধার ছেলে পুলিশ সদস্য মোঃ আসাদুজ্জামান মৃধার সাথে ফেসবুকে পরিচয় হয় বরগুনার বেতাগী উপজেলার বিথী আক্তারের সাথে। তারপর থেকে দুজনেই জড়ান প্রেমের সম্পর্কে। সম্পর্কে জড়ানোর পর থেকেই পুলিশ সদস্য আসাদুজ্জামান মৃধা তাকে নিয়ে বরিশাল-কুয়াকাটাসহ বিভিন্ন স্থানে ঘুড়তে যান এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। পরবর্তীতে বিথী বিয়ের জন্য চাপ দিলে নানান টালবাহানা শেষে ২০১২ সালের ৬ জুন বিয়ে করেন। বিয়ের পরে পারিবারিক চাপে বিয়ের আট মাসের মাথায় স্ত্রী বিথীকে তালাক দেয় আসাদুজ্জামান। ২০২৩ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি একই নারীকে ২য় বার বিয়ে করেন এবং ২০২৪ সালের ১৫ জুন তালাক দেন।
সর্বশেষ চলতি বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর কুয়াকাটায় গিয়ে তৃতীয় বারের মত বিয়ে করেন বিথীকে। বিয়ের একদিনের মাথায় স্ত্রী বিথীর সাথে কোন যোগাযোগ না রাখায় গতকাল শুক্রবার দুপুরে পুলিশ সদস্য আসাদুজ্জামান মৃধা গ্রামের বাড়িতে আসেন। বাড়িতে আসতে দেখে আসাদুজ্জামান বাড়ি থেকে চলে যান এবং তার পরিবারের সদস্যরা ঘরের দরজা বন্ধ করে রাখেন। এদিকে সন্ধ্যার সময় বিথীকে বেধড়ক ভাবে মারধর করেন আসাদুজ্জামান। পরে স্থানীয় মেম্বার ও গ্রাম পুলিশের সহায়তায় পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন বিথী। বর্তমানে তিনি পটুয়াখালী পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
তবে এলাকাবাসী জানান, শুনেছি এর আগেও নাকি এই মেয়েটিকে দুবার বিয়ে করে আসাদুজ্জামান এবং যা পরে আবার তালাক হয়। কিন্তু ৩য় বার যে আবার বিয়ে করছে সেটা জানতাম না। তবে মেয়েটিকে সারাদিনে কোন খাবার না পানি না দেয়ায় পুলিশ সদস্যের পরিবারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকাবাসী।
বিথী আক্তার জানান, দুবার বিয়ে করে পরিবারের চাপে আবার তালাক দেন আসাদুজ্জামান। পরে আমার গোপন ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুড়তে নিয়ে যেতো। একপর্যায়ে চলতি মাসের ১৮ তারিখ কুয়াকাটায় নিয়ে বিয়ে করেন। বিয়ের পরের দিন থেকে আমার আর খোঁজ খবর নেন না তিনি। এখন আসাদুজ্জামানের বাড়িতে আসলে তার পরিবারের লোকজন বাসায় ঢুকতে দিচ্ছে না এবং সন্ধ্যার পর আসাদুজ্জামান নিজে বাড়িতে এসে আমাকে মারধর করে চলে যায়। মায়ের বাড়ি থেকে এসে যদি স্বামীর বাড়িতে জায়গা না পাই তবে আত্নহত্যা করা ছাড়া উপায় থাকবে না আমার।
এ বিষয়ে পুলিশ সদস্য আসাদুজ্জামান মৃধা তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি কল রিসিভ করেনি।