প্রায় দুইশত শতাংশ জমিতে ডুপলেক্স বাড়ির ন্যয় দৃষ্টিনন্দন বাগানবাড়ি বানিয়ে এলাকায় আলোড়ন সুষ্টি করেছে মানিকগঞ্জের তৃতীয় শ্রেণীর এক কর্মচারী।

আওয়ার ডেইলি বাংলাদেশ ডেস্ক:-

জেলার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী আব্দুল বারেক ওই বাড়িটির নাম দিয়েছেন ক্ষণিকের নীড়।অবৈধ পন্থায় কামানো টাকা দিয়ে তিনি ওই বাগানবাড়ি বানিয়েছেন বলে দাবি স্বজন ও স্থানীয়দের।তৃতীয় শ্রেনীর এই কর্মচারীর অনিয়ম দূর্ণীতির ও সম্পদের উৎস যাচাইয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বিচারের দাবি স্থানীয় এলাকাবাসীর।

জানা গেছে, সদর উপজেলার উকিয়ারা গ্রামের ইয়াছিন আলীর ছেলে আব্দুল বারেক। চাকরি করছেন মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী পদে। বাবা-মায়ের পারিবারিক কলহে ছোটবেলায় পড়াশোনা করেছেন সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটি এতিম খানায়। ১৯৮৮ সালে তিনি দৌলতপুর ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে যোগ দেন সার্টিফিকেট সহকারী হিসেবে। এরপর তিনি মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে চাকরি করেছেন। বর্তমানে তিনি কর্মরত আছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী পদে। সদর উপজেলার জাগীর ইউনিয়নের দিয়ারা গোলড়া গ্রামে ১৯০ শতাংশ জমির ওপর ডুপলেক্স বাড়ির ন্যয় দৃষ্টিনন্দন বাগানবাড়ি বানিয়ে এলাকায় আলোড়ন সুষ্টি করেছেন বারেক । ওই বাড়ির নাম দিয়েছেন ক্ষণিকের নীড় ।

জমি ও স্থাপনাসহ ওই বাগানবাড়ির বাজারমূল্য অন্তত ১০ কোটি টাকা। বাবার সাথে বিচ্ছেদের পর দিয়ারা গোলড়া গ্রামে নানার বাড়ির পক্ষ থেকে ১৮ শতাংশ জমিতে তার মাকে বানিয়ে দেয়া হয়েছিল একটি বাড়ি। অবৈধভাবে জমি হাতিয়ে নেওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়ম দূর্নীতির মাধ্যমে তিনি এই সম্পদের পাহাড় গড়েছেন বলে অভিযোগ স্বজন ও স্থানীয়দের।অভিযোগ রয়েছে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও প্রভাবশালীদের সাথে সখ্যতা থাকায় তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে হয়রানির শিকার হয়েছেন অনেকেই। তবে, তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আব্দুল বারেক। তিনি বলেন, তার যা সম্পদ আছে তা বৈধ সম্পদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *